করোনা পরিস্থিতিতে হাসপাতালগুলোতে অক্সিজেনসহ ওষুধের পর্যাপ্ত সরবরাহ ও মূল্য নিয়ন্ত্রণে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণে আইনি নোটিশ পাঠানো হয়েছে। নোটিশে অক্সিজেনসহ ওষুধের সরবরাহ বন্ধ রেখে কৃত্রিম সংকট সৃষ্টির সঙ্গে জড়িতদের বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের দাবি জানানো হয়েছে। স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় সচিব, ওষুধ প্রশাসন অধিদফতরের মহাপরিচালক (ডিজি), ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদফতরের মহাপরিচালক (ডিজি) ও বাংলাদেশ স্ট্যান্ডার্ডস অ্যান্ড টেস্টিং ইন্সটিটিউশন (বিএসটিআই) মহাপরিচালককে এ নোটিশ পাঠানো হয়। বুধবার সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী মনিরুজ্জামান লিংকন জনস্বার্থে ইমেইলে এ নোটিশ পাঠিয়েছেন।
নোটিশে বলা হয়, দেশে করোনা ভাইরাসের সামাজিক সংক্রমণ বেড়ে চলছে এবং দিনে দিনে রোগীর সংখ্যা বৃদ্ধি পাচ্ছে। সরকার এসব রোগীদের সরকারি-বেসরকারি পর্যায়ে চিকিৎসা দেওয়ার সার্বিক প্রস্তুতি এবং ব্যবস্থা গ্রহণ করেছে। অধিক জনসংখ্যার তুলনায় আমাদের দেশে চিকিৎসা ব্যবস্থা অপ্রতুল। তার ওপরে করোনার মহামারি দুর্যোগে বিপুল সংখ্যক মানুষ নতুনভাবে সংক্রমিত হচ্ছে। ফলে তাদের চিকিৎসা দিতে হিমশিম খেতে হচ্ছে। বিভিন্ন পত্র-পত্রিকা এবং ইলেকট্রনিক মিডিয়ার প্রতিবেদনের মাধ্যমে ইদানিং লক্ষ্য করা গেছে, করোনা চিকিৎসার জন্য বহুল ব্যবহৃত মেডিক্যাল অক্সিজেন এবং এই সংক্রান্ত ওষুধের কৃত্রিম সংকট সৃষ্টি করা হয়েছে। যা করোনায় বিপর্যস্ত মানুষকে আরও সমস্যায় ফেলছে। তাদের জীবনহানির আশঙ্কা বহুগুণে বৃদ্ধি করেছে। তাই এ বিষয়ে জড়িতদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণ করা অত্যন্ত জরুরি। শুধু সিন্ডিকেট করে ওষুধের দাম বৃদ্ধির মাধ্যমে কৃত্রিম সংকট সৃষ্টিই নয়, অনেক ক্ষেত্রে মানহীন মেডিক্যাল অক্সিজেন সিলিন্ডার ও ওষুধ বাজারে সরবরাহ করে এক শ্রেণির অসাধু ব্যবসায়ী দুর্যোগের মধ্যে তাদের মুনাফা এবং ব্যক্তিস্বার্থ চরিতার্থ করার জন্য প্রচেষ্টা অব্যাহত রেখেছে। যা এই মুহূর্তে বন্ধ করা খুবই জরুরি। তাই আগামী ৫ কার্যদিবসের মধ্যে জনস্বার্থে মেডিক্যাল অক্সিজেনসহ ওষুধের পর্যাপ্ত সরবরাহ, মূল্য নিয়ন্ত্রণে ব্যবস্থা এবং এসবের কৃত্রিম সংকটাকারীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণের অনুরোধ জানানো হলো। অন্যথায় এ বিষয়ে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলেও নোটিশে উল্লেখ করা হয়।
মনিরুজ্জামান লিংকন বলেন, আমরা লক্ষ্য করছি শুধু সিন্ডিকেট করে ওষুধের দাম বৃদ্ধির মাধ্যমে কৃত্রিম সংকট সৃষ্টিই নয় অনেক ক্ষেত্রে মানহীন এই মেডিকেল আক্সিজেন সিলিন্ডার ও ওষুধ বাজারে সরবরাহ করে এক শ্রেণীর অসাধু ব্যবসায়ী দুর্যোগের মধ্যে তাদের মুনাফা এবং ব্যক্তিস্বার্থ চরিতার্থ করার জন্য প্রচেষ্টা অব্যাহত রেখেছে। যে বিষয়টি এই মুহূর্তে বন্ধ করা খুবই জরুরি
তাই বৃহত্তর জনস্বার্থে মেডিকেল অক্সিজেনসহ ওষুধের পর্যাপ্ত সরবরাহ অব্যাহত রাখতে হবে।