চিকিৎসা নিয়ে প্রতারণা করা রিজেন্ট হাসপাতালের মালিক সাহেদ করিম যত বড় ক্ষমতাবানই হোক না কেন, অপরাধ প্রমাণিত হলে তাকে ছাড় দেয়ার প্রশ্নই আসে না।
স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, প্রধানমন্ত্রী তার সংসদ সদস্যকে ছাড় দেননি, তার দলীয় নেতাদেরকেও তিনি ছাড় দিচ্ছেন না। যার (শাহেদ) কথা বলেছেন, যদি প্রমাণিত হয়, তাকে ছাড় দেয়ার প্রশ্নই আসে না।
তিনি আরো বলেন, তাকে ধরার জন্য অনুসন্ধান চলছে। র্যাব এবং পুলিশ উভয়েই খুঁজছে। আমরা মনে করি খুব শিগগিরই আমরা তথ্য দিতে পারব।
আজ শুক্রবার রাজধানী ধানমন্ডির বাসভবনে সাংবাদিকদের এ কথা বলেন মন্ত্রী।
৭ জুলাই উত্তরায় রিজেন্ট হাসপাতালে র্যাবের অভিযানের সময় সাহেদ স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীকে ফোন দিয়েছিলেন। স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী নিজেই তা জানিয়েছেন।
এ বিষয়ে মন্ত্রী বলেন, আমি ফোন দিয়ে তার হাসপাতালে রোগী ভর্তি করি, সেই সুবাধে আমাকে ফোন দিয়েছিলেন। বলেছিলেন, হাসপাতাল সিল করে দিচ্ছে। আমি বলেছি, আপনি নিশ্চয়ই কোনো অন্যায় কাজ করেছেন, এজন্য সিল করছে। বিনা কারণে তো সিল করে না।
তিনি বলেন, সে বলল আমি তাহলে কী করব? আমি বললাম, হয় আপনি ফেইস করেন, নতুবা কোর্টে গিয়ে… আপনার যদি কিছু বলার থাকে কোর্টে যান। এইটুকুই আমি বলেছি।
বের ভ্রাম্যমাণ আদালত রাজধানীর রিজেন্ট হাসপাতালে অভিযান পরিচালনা করে। পরে করোনা পরীক্ষা না করেই সার্টিফিকেট দেওয়াসহ বিভিন্ন অভিযোগে রিজেন্ট হাসপাতালের বিরুদ্ধে উত্তরা পশ্চিম থানায় মামলা করে সংস্থাটি।
মামলায় রিজেন্ট গ্রুপের চেয়ারম্যান মো. সাহেদকে প্রধান আসামি করে ১৭ জনের নাম উল্লেখ করা হয়। এ পরিপ্রেক্ষিতে সাহেদ, ব্যবস্থাপনা পরিচালক মাসুদ পারভেজসহ পলাতক রয়েছেন আর আটজন।
গত ০৭ জুলাই বিকেলে উত্তরায় রিজেন্টের প্রধান কার্যালয় সিলগালা করে দেয় র্যাব। ওইদিন সন্ধ্যায় স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের এক বিজ্ঞপ্তিতে হাসপাতালের উত্তরা ও মিরপুর শাখার কার্যক্রম বন্ধের নির্দেশের কথা বলা হয়।