ঢাকার রিজেন্ট হাসপাতালের মালিক ও করোনা নমুনা পরীক্ষায় জালিয়াতি মামলার প্রধান আসামি মো. সাহেদ ওরফে সাহেদ করিম মৌলভীবাজারের কমলগঞ্জ সীমান্ত দিয়ে পালানোর গুঞ্জণে সোমবার জেলাজুড়ে তোলপাড় শুরু হয়। সাহেদের সন্ধানে জেলার বিভিন্ন স্থানে অভিযান চালায় আইনশৃঙ্খলা বাহিনী। মৌলভীবাজারের সীমান্ত দিয়ে ভারত পালিয়ে যেতে পারেন এমন খবরে সীমান্তবর্তী এলাকাগুলোতে বিশেষ নজরদারি চালানো হয়। সোমবার রাতভর ঢাকা থেকে আসা র্যাবের একটি টিমসহ আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর তৎপরতার পরও মঙ্গলবার সন্ধ্যা পর্যন্ত সাহেদের খোঁজ মেলেনি।
এদিকে একটি নির্ভরযোগ্য গোয়েন্দা সংস্থা সূত্রে জানা গেছে, মো. শাহেদ মৌলভীবাজারের চাতলাপুর, কুরমা বা ধলই সীমান্ত দিয়ে ভারতে পালিয়ে যেতে পারেন এ খবরে ঢাকা থেকে র্যাবের একটি টিম শ্রীমঙ্গল ও কমলগঞ্জ উপজেলায় অভিযান চালায়। র্যাবের টিম শ্রীমঙ্গল লেমন গার্ডেন, লাউয়াছড়া, কুরমা, ধলই ও চাতলাপুর সীমান্ত রোডেও তৎপরতা চালায়। তারা শ্রীমঙ্গল ও কমলগঞ্জ উপজেলার বিভিন্ন গেস্ট হাউজেও তল্লাশি চালায়।
আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর পাশাপাশি সাহেদ কমলগঞ্জে অবস্থান করার গুঞ্জনে সীমান্ত এলাকা চষে বেড়িয়েছেন জেলা ও উপজেলা পর্যায়ের ইলেকট্রনিক্স ও প্রিন্ট মিডিয়ার কর্মীরা। সোমবার রাতভর ছুটে বেড়ান কমলগঞ্জের কুরম সীমান্ত থেকে ধলাই সীমান্তসহ উপজেলার অন্য সীমান্ত এলাকা।
তবে র্যাব-৯ এর শ্রীমঙ্গল ক্যাম্পের অধিনায়ক মেজর আহমেদ নোমান বলেন, এই রকম কোন তথ্য তাদের কাছে নেই এবং তারা অভিযানেও নেই। তবে র্যাবের হেড কোয়ার্টারের মাধ্যমে বা অন্য কোন ইউনিট অভিযান চালাতে পারে।
র্যাবের মিডিয়া উইংয়ের পরিচালক আশিক বিল্লাহ সাংবাদিকদের জানান, ঢাকা এবং ঢাকার বাইরে র্যাবের একাধিক দল সাহেদকে গ্রেপ্তারে কাজ করছে।
উপজেলার শমশেরনগর পুলিশ ফাঁড়ির দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তা পরিদর্শক (তদন্ত) অরুপ কুমার চৌধুরী বলেন, সাহেদ এদিকে আছেন এমন কোন নির্দিষ্ট তথ্য নেই। যেহেতু সীমান্ত এলাকা তাই তিনি পালানোর চেষ্টা করতে পারেন এটা সন্দেহ অতিরিক্ত সতর্কতা গ্রহণ করেছি।
মৌলভীবাজারের পুলিশ সুপার ফারুক আহমেদ জানান, সাহেদ এখানে আছে এমন সুনির্দিষ্ট কোন তথ্য নেই। তবে আমরা সবসময় সতর্ক আছি। সতর্ক থাকার নির্দেশ সব জায়গায় দেওয়া আছে।
মৌলভীবাজারের গোয়েন্দা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) বিনয় ভূষন রায় বলেন, সাহেদ সীমান্ত এলাকায় অবস্থান করছে, এমন খবর সর্বত্র ছড়িয়েছে। এখন পর্যন্ত এ বিষয়ে নিশ্চিত কোনো তথ্য পাওয়া যায়নি। তবে এখন পর্যন্ত সীমান্ত এলাকাগুলো নজরদারীতে রয়েছে।