অসুস্থ এক নারী পোশাক শ্রমিককে (২১) ক্লিনিকে নিয়ে রক্ত পরীক্ষার কথা বলে ধর্ষণের অভিযোগ পাওয়া গেছে।
অভিযুক্ত নুরুল ইসলাম শেখ রাজেন্দ্রপুর সেনানিবাস সংলগ্ন বাংলাদেশ নরওয়ে ফ্রেন্ডশীপ হাসপাতালের স্বত্ত্বাধিকারী।
তিনি গাজীপুর জেলার জয়দেবপুর থানার জানাকুড় গ্রামের মৃত আব্দুর রহমান শেখের ছেলে। ওই ঘটনায় গত রবিবার (২৭ সেপ্টেম্বর) ভিকটিম নারী শ্রীপুর থানায় একটি ধর্ষন মামলা দায়ের করেন।
নারীর বাড়ি ময়মনসিংহ জেলার ত্রিশাল উপজেলায়। তিনি শ্রীপুরের ধলাদিয়া এলাকায় ভাড়া থেকে স্থানীয় একটি পোশাক কারখানায় চাকুরী করেন।
মামলার বিবরণে জানা গেছে, গত ২০ সেপ্টেম্বর সকালে ওই নারী সর্দি-জ্বর নিয়ে অভিযুক্তের মালিকানাধীন বাংলাদেশ নরওয়ে ফ্রেন্ডশীপ হাসপাতালের হাসপাতালে চিকিৎসা করাতে যান।
এসময় অভিযুক্ত ওই নারীকে রক্ত ও প্রসাব পরীক্ষা করার পরামর্শ দেন।
রক্ত ও প্রসাব রেখে কোনো প্রকার কাগজপত্র না দিয়ে পরদিন রিপোর্ট নিয়ে যেতে বলেন। এতে ওই নারী হাসপাতাল থেকে তার ভাড়া বাসা শ্রীপুর উপজেলার রাজাবাড়ী ইউনিয়নের ধলাদিয়া চলে যান।
পরদিন ২১ সেপ্টেম্বর হাসপাতালের মালিক অভিযুক্ত নূরুল ইসলাম শেখ তার বিশ্বস্ত লোকের মাধ্যমে হাসপাতালে যাওয়ার জন্য ওই পোশাক শ্রমিকের বাড়িতে খবর পাঠান।
পরে ওই নারী তার রিপোর্ট আনার জন্য বাড়ি হতে বের হয়ে দেখতে পায় রাজেন্দ্রপুর-কাপাসিয়া সড়কের ধলাদিয়া এলাকায় নূরুল ইসলাম শেখসহ তার ২/৩জন সহযোগী কালো রংয়ের পাজেরো গাড়ী নিয়ে রাস্তায় দাঁড়িয়ে আছে।
হাসপাতালের মালিক হয়ে তাকে নিতে আসায় প্রথমে বিস্মিত হলেও পরে অভিযুক্তের সাথেই হাসপাতালের উদ্দেশে রওয়ানা হন।
অভিযুক্ত তাকে হাসপাতালে না নিয়ে স্থানীয় ধলাদিয়া কলেজের পাশে অভিযুক্তের মালিকানাধীন বাংলোতে নিয়ে যায়। সেখানে একটি টিনশেড কক্ষে ওই নারীকে হত্যার ভয় দেখিয়ে জোরপূর্বক ধর্ষণ করে।
পরে ঘটনা প্রকাশ করা হলে খুন করে লাশ গুমের হুমকি দেয়। এ ঘটনায় ওই নারী তার স্বজনদের জানিয়ে গত রবিবার শ্রীপুর থানায় ধর্ষন মামলা দায়ের করেন।
শ্রীপুর থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) এখলাস উদ্দিন অভিযুক্তকে গ্রেফতারের জন্য তৎপরতা চালায়। এ ব্যাপারে ওই দারোগার সাথে যোগাযোগ করা হলে সাংবাদিককে পরে কথা বলার অনুরোধ করেন।