আইন, বিচার ও সংসদ বিষয়ক মন্ত্রী আনিসুল হক বলেছেন, শুধু বিচারক নয় তথ্য প্রযুক্তি ব্যবহারে আগামী সপ্তাহ থেকে আইনজীবীদেরকেও প্রশিক্ষণ প্রদান করা হবে।
বিচার প্রশাসন প্রশিক্ষণ ইনস্টিটিউটের (জাটি) মহাপরিচালক বিচারপতি খন্দকার মুসা খালেদের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে আরো বক্তৃতা করেন আইন সচিব গোলাম সারোয়ার, জাটির পরিচালক (প্রশিক্ষণ) গোলাম কিবরিয়া।
তথ্য প্রযুক্তি ব্যবহার করে বিচারকদের অনলাইন লার্নিং পদ্ধতিতে প্রশিক্ষণ প্রদান একটি শুভসূচনা। তথ্য প্রযুক্তি ব্যবহারের একটি মাইলফলক। ডিজিটাল বাংলাদেশ গড়তে প্রধানমন্ত্রীর স্বপ্নপূরণে আরো একটি সাফল্য।
88 জন সহকারী জজ ও জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট চার মাসব্যাপী এ প্রশিক্ষণে অংশ নিচ্ছেন। এ প্রশিক্ষণ গত ১ জানুয়ারি শুরু হয়। করোনা ভাইরাস জনিত পরিস্থিতির কারণে দেশে সাধারণ ছুটি ঘোষণা করায় গত ২২ মার্চ এ প্রশিক্ষণ মুলতবি করা হয়। এখন অবশিষ্ট প্রশিক্ষণ অনলাইন লার্নিং পদ্ধতিতে সমাপ্ত হবে।
আনিসুল হক বলেন, পরিস্থিতি বিবেচনায় পৃথিবী সচল রাখতে তথ্য প্রযুক্তি ব্যবহার করা হচ্ছে। তিনি বলেন, রাষ্ট্রের অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ অঙ্গ বিচার বিভাগ। জনগণের বিচার পাবার লক্ষ্যে প্রধানমন্ত্রী বিদ্যমান পরিস্থিতিতে তথ্য প্রযুক্তি ব্যবহার করে ভার্চুয়াল কোর্ট চালুর উদ্যোগ নেন। সে অনুযায়ী আদালতে তথ্য প্রযুক্তি ব্যবহার অধ্যাদেশ করা হয়। এখন এটি আইনে পরিণত করার প্রক্রিয়া চলছে।
আইনমন্ত্রী বলেন, বৈশ্বিক মহামারি করোনা ভাইরাসের এখনো সুনির্দিষ্ট ওষুধ আবিষ্কার হয়নি। ফলে বিশ্বব্যাপী আতংক বিরাজ করছে। এ পরিস্থিতিতে একসাথে কাজ করা, স্বজনের সঙ্গে দেখা সাক্ষাৎও বন্ধ রয়েছে। এ মহামারী সংক্রমণ থেকে রক্ষা পেতে সকলকে স্বাস্থ্যবিধি কঠোরভাবে মেনে চলতে হবে।
ভার্চুয়াল কোর্ট স্বাভাবিক বিচার ব্যবস্থার বিকল্প নয়। বিশেষ পরিস্থিতির কারণে এটি করা হয়েছে। করোনায় ইতোমধ্যে দেশে একজন বিচারক, আইনজীবী, বিভিন্ন শ্রেণি পেশার ১৯৯৭ জন মৃত্যুবরণ করেছেন। আইনমন্ত্রী করোনায় এ পর্যন্ত মৃত সকলের আত্মার মাগফিরাত কামনা করেন।
তিনি বলেন, করোনা সংকটে বিচারকগন ফ্রন্টলাইন যোদ্ধা হিসেবে কাজ করছেন। বিচার বিভাগ সচলে বিচারকদের অগ্রণী ভূমিকা রাখতে হবে। তাই এ প্রশিক্ষণ বিচারকদের দক্ষ করতে সহায়ক হবে।