নির্বাচন কমিশন (ইসি) রাজনৈতিক দলের নিবন্ধন আইনের সংশোধনের যে উদ্যোগ নিয়েছে, তার উদ্দেশ্য হলো ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগকে বারবার ক্ষমতায় আনা। ওয়ান-ইলেভেন থেকে এই প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে। বৃহস্পতিবার এক ভার্চুয়াল আলোচনায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
মির্জা ফখরুল বলেন, সারাবিশ্বে এখন করোনা মহামারিতে বিপর্যস্ত।
মানবিক দুর্যোগ চলছে। মানুষ বাসা থেকে বের হতে পারছে না। এ অবস্থায় ইসি উপনির্বাচন করতে চাইছে।
তিনি বলেন, দেশে এক দশকের বেশি সময়, ধরে কর্তৃত্ববাদী শাসন চলছে।
ইসি বিগত নির্বাচনগুলোতে আওয়ামী লীগকে সহযোগিতা করেছে। সেনাবাহিনীকে অকার্যকর করেছে। এই কমিশনের কাছে নিরপেক্ষ আচরণ পাওয়া যাবে না
দেশে গনতন্ত্র প্রতিষ্ঠা করতে গিয়ে বিএনপির নেতাকর্মীরা গুম হয়েছেন। কতো নেতাকর্মী আহত হয়েছেন, পঙ্গু হয়েছেন। আন্দোলন করতে গিয়ে ৩৫ লাখ মানুষ আসামী হয়েছে। খালেদা জিয়াকে জেল খাটতে হয়েছে, তারেক রহমানকে বিদেশে নির্বাসিত জীবন যাপন করতে হচ্ছে। ইসি ভালো কিছু করবে না।
তিনি বলেন, নির্বাচন ঠিকভাবে করতে না পারলে গণতন্ত্রকে প্রাতিষ্ঠানিক রূপ দেওয়া সম্ভব নয়। গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠা করতে চাইলে সরকারকে বিদায় করতে হবে। এ জন্য সকলকে ঐক্যবদ্ধ হতে হবে। এরপর নিরপেক্ষ নির্বাচন কমিশনের অধীনে নির্বাচনের ব্যবস্থা করতে হবে।
বিএনপি কমিউনিকেশন সেলের পরিচালক ও প্রধান সম্পাদক জহির উদ্দিন স্বপনের পরিচালনায় ‘রাজনৈতিক দলসমূহের নিবন্ধন আইন’ শীর্ষক আলোচনায় অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য নজরুল ইসলাম খান, আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী, নাগরিক ঐক্যের আহবায়ক মাহমুদুর রহমান মান্না, বাম জোটের সমন্বয়ক বজলুর রশীদ, সাবেক নির্বাচন কমিশন সচিব আব্দুর রশীদ প্রমুখ।
রিজেন্ট হাসপাতালের অনিয়মের বিষয়ে মির্জা ফখরুল বলেন, টিভিতে দেখলাম হাসপাতালের মালিকের সরকারের বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তিদের সঙ্গে তার ওঠাবসা। সরকারের মদদে রিজেন্টের মালিক এসব অপকর্ম করেছে।