ওয়াশিম রাজু, নওগাঁ: সারা বিশ্বে প্রাণঘাতী করোনা ভাইরাসে মৃত্যুর সংখ্যা দিন দিন বেড়েই চলেছে। চলমান মহামারী করোনা ভাইরাসের সংক্রমণ থেকে রক্ষা পাওয়ার জন্য নওগাঁ জেলাকে লকডাউন ঘোষনা করা হয়েছে। গতবুধবার জেলা প্রশাসক হারুন – অর-রশীদ নওগাঁ জেলাকে লকডাউন ঘোষনা করেছেন।। আর এক সপ্তাহের মধ্যেই ইরি-বোরো ধান কাটা মাড়াই শুরু হবে। মানুষ এখন ঘর বন্দী। জেলায় চলতি ইরি-বোরো মৌসুমে লক্ষ লক্ষ হেক্টর জমির ধান কাটা ও মাড়াই নিয়ে উদ্বিগ্ন নওগাঁর আত্রাই সহ ১১ টি উপজেলার কৃষকেরা। লকডাউন দীর্ঘ সময় হলে শ্রমিক সংকটে পড়বেন কৃষকেরা। চলতি মৌসুমে ইরি-বোরো শ্রমিক সংকটের কারণে ধান- কাটা-মাড়াই কাজ ব্যাহত হওয়ার আশংকার ভাবনায় ভাবছেন কৃষকেরা।
ফলে তাদের কষ্টার্জিত কাংক্ষিত ফসল সঠিক ভাবে সঠিক সময়ে ঘরে তোলা নিয়ে চরম দুঃচিন্তায় পড়েছেন কৃষক কুল।বিগত বছর গুলোতে ধান কাটা- মাড়াই এর সময়, নীলফামারী,ড়োমার, কুষ্টিয়া, ভেড়ামারা,চুয়াডাঙ্গা, পোড়াদহ, আবদুল পুর, আক্কেলপুর সহ বিভিন্ন এলাকা থেকে ধান কাটা শ্রমিকরা আত্রাই সহ জেলার ১১টি উপজেলায় আসতো। কিন্তু এ বছর করোনা ভাইরাসের চলমান সমস্যার সমাধান না হলে বাহিরের শ্রমিকরা আসতে না পারলে ধান কাটা- মাড়াই নিয়ে শ্রমিক সংকটে পড়তে পারে বলে অভিমত জানিয়েছেন এলাকার কৃষকেরা।কৃষকদের ভাষ্যমতে, চলতি মৌসুমে সময়মত শ্রমিক না পেলে ধান নিয়ে বিপাকে পড়তে পারে কৃষকেরা। শ্রমিক সংকটের কারণে সময়মত ধানগুলো ঘরে তুলতে পারবেন কিনা বর্তমানে এই আশঙ্কা রয়েছে এলাকার কৃষকদের মনে। বাহিরের শ্রমিকরা আসে তারপরও যে সব স্থানীয় শ্রমিক পাওয়া যায় তাদের দ্বিগুন পারিশ্রমিক দিতে হয়। এবার যদি বাহিরের শ্রমিকেরা আসতে না পারে তা’হলে বড়ই বিপাকে পড়বে কৃষকেরা।কৃষি অফিস জানা গেছে, চলতি বছরে উপজেলার ৮টি ইউনিয়নে ১৮ হাজার ৪২৫ হেক্টর জমিতে ইরি-বোরো ধান চাষ করা হয়েছে।
আবহাওয়া অনুক’লে থাকায় কৃষি অফিসের পরামর্শে সঠিক সময়ে চারা লাগানো, নিবিড় পরিচর্যা, রিবিচ্ছন্ন বিদ্যুৎ সরবরাহ, যথাসময়ে সেচ দেওয়া এবং সার সংকট না থাকায় এবার উপজেলার কৃষকেরা কাটারী ভোগ, জিরা শাইল,খাটো-১০,স্বর্ণা-৫ জাতের ধান চাষ করেছেন।এব্যাপারে কৃষি কর্মকর্তা কৃষিবিদ কেএম কাওছার, নওগাঁ জেলা কৃষি সম্প্রসারন অধিদপ্তরের মাধ্যমে জানা যায়, বাহির থেকে শ্রমিক আসার বিষয়টি জেলা প্রশাসন ও সংশ্লিষ্ট উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনওদের) সাথে আলাপ- আলোচনা চলছে। যাতে ধান-কাটা -মাড়াই এর কাজ ব্যাহত না হয়। স্ব স্ব এলাকার ইউএনও কর্তৃক প্রত্যায়ন পত্র দিয়ে শ্রমিকদের কাজে পাঠাবেন তা হলে আর কোন শ্রমিক সংকট হবে না বলে আশা করা যায়।