মহামারিকে সঙ্গী করে কর্মস্থল এবং প্রয়োজনীয় কাজে ফিরছে মানুষ। শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান না খুললেও রাজধানী ঢাকা স্বাভাবিক হওয়ার পথে।
সড়কে বেড়েছে গাড়ির চাপ। কিছুদিন আগেও যেসব সড়ক ফাঁকা ছিল, সেগুলোতে এখন যানজট। রাজধানীর কয়েকটি এলাকা সরেজমিনে ঘুরে দেখা গেছে, আবারও পুরনো চেহারায় ফিরছে ঢাকা।
রাস্তায় হেঁটে চলা এবং বাসে চেপে গন্তব্যে যাওয়া বেশির ভাগ যাত্রীর মুখে মাস্ক নেই।
রাজধানীর উত্তরার আব্দুল্লাহপুর থেকে বেড়িবাঁধ সড়ক হয়ে মৈনারট্যাক পর্যন্ত চলাচলকারী হিউম্যান হলারগুলোতে গাদাগাদি করে বসেছে যাত্রী।
একপাশে ১০ জনের সিটে বসেছে ১৩ জন। তাদের মধ্যে চালক ও পেছনে দাঁড়িয়ে থাকা একজন হেলপারসহ মোট ২৮ জনের মধ্যে মাস্ক পরেছে মাত্র চারজন। তাঁরা সবাই নারী যাত্রী।
দেশ এখন স্বাভাবিক, করোনার কোনো ভয় নেই। সকাল ১১টায় মতিঝিল থেকে প্রজাপতি পরিবহনে মিরপুরের উদ্দেশে যাত্রা করেন ব্যবসায়ী রবিউল।
মিরপুর-১২ নম্বরে তাঁর ব্যবসাপ্রতিষ্ঠান। রবিউল কালের কণ্ঠকে বলেন, মতিঝিল থেকে মিরপুর-১২ নম্বর আসতে তাঁর সময় লেগেছে দুই ঘণ্টা ৩০ মিনিট। ওই বাসের চালক নুর আলী বলেন, আবার সেই যানজট শুরু হয়েছে, আমরা কী করব।
রাজধানীর বিভিন্ন এলাকা ঘুরে দেখা গেছে, রাজধানীর ফার্মগেট, মিরপুর-১০ নম্বর থেকে গাবতলী, গাবতলী থেকে শ্যামলী, মৎস্য ভবন থেকে মতিঝিল, আজিমপুর থেকে সদরঘাট, কুড়িল বিশ্বরোড় থেকে বাড্ডা হয়ে মতিঝিল পর্যন্ত সড়কে তীব্র যানজট।
সাবেক ভাড়ায় গণপরিবহন চালু করার সিদ্ধান্ত নেওয়ার পরই একযোগে বড়-ছোট মিলে সব ধরনের বাস সড়কে নেমেছে। দুই আসন এক যাত্রী বহনের পদ্ধতি চালু হওয়ার পর অনেক বাস মালিক বাস চালাননি।
লোকসানের ভয়ে তাঁদের বাসগুলো বসেছিল। এখন তাঁরাও সড়কে বাস চালু করেছেন। আবার হিউম্যান হলার, ইজি বাইক, ইঞ্জিনচালিত রিকশাও নির্ভয়ে সড়কে চলাচল করছে। এ ছাড়া রয়েছে পিকআপ ভ্যান। এ কারণে সড়কে যানজট তৈরি হয়েছে।
মিরপুর থেকে ফার্মগেট হয়ে মতিঝিল পর্যন্ত সড়কটি মেট্রো রেলের নির্মাণকাজের কারণে খানাখন্দের সৃষ্টি হয়েছিল, সেগুলো মেরামতকাজ চলছে। বিমানবন্দর থেকে টঙ্গী ব্রিজ পর্যন্ত সড়কজুড়ে বড় বড় গর্ত।
ওই সব গর্তের কারণে যানবাহন চালাতে হচ্ছে ধীরগতিতে। এই ধীরগতির কারণে বিমানবন্দর থেকে টঙ্গী পর্যন্ত প্রায় সারা দিন যানজট লেগে থাকে।
রাজধানীর গুলশান, মহাখালী, ফার্মগেট, গাবতলী, মিরপুর ও কালশী রোডে যানজট লক্ষ করা গেছে। বৃহস্পতিবার দুপুরে রাজধানীর গুলশানে সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, গুলশান-১-এর সিগন্যালের দুই পাশেই যানজট।
গুলশান থেকে বিআরটিসির দ্বিতল একটি বাসে ফার্মগেট যেতে এই প্রতিবেদকের ৫০ মিনিট সময় লাগে। ফার্মগেট যাওয়ার পথে টিবি গেট, মহাখালী আমতলী, রেলগেট ও বিজয় সরণিতে তীব্র যানজট ছিল।
ফার্মগেট থেকে ওয়েলকাম পরিবহনের একটি বাসে গাবতলী যাওয়ার পথেও আসাদগেট, শ্যামলী, টেকনিক্যাল মোড়ে যানজট লক্ষ করা গেছে। এ সময় গণপরিবহনের উল্লেখযোগ্য উপস্থিতি লক্ষ করা গেছে।
গাবতলী মাজার রোড থেকে অছিম পরিবহনের একটি বাসে কালশী হয়ে কুড়িল বিশ্বরোড যাওয়ার পথেও মিরপুর, কালশীতে তীব্র যানজট লক্ষ করা গেছে।
এদিকে সায়েদাবাদ ও যাত্রাবাড়ী এলাকাতেও ছিল দিনভর যানজট। পুরনো ভাড়ায় বাস চলাচল করলেও গাড়িতে তেমন যাত্রী দেখা যায়নি। কিন্তু সড়কে গাড়ির চাপ বেড়েছে অনেক।
বলাকা পরিবহনের চালক রহিম বলেন, করোনার সময় মানুষ সড়কে কম বের হয়েছে। তখন গাড়িও কম ছিল। কিন্তু পুরনো ভাড়ায় ফেরায় সড়কে গাড়ি বাড়লেও যাত্রী তুলনামূলকভাবে কম।
জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী শামীম মোল্লাকে হত্যার ভিডিও ফুটেজে ছাত্রদলের পাঁচ নেতাকর্মীকে শনাক্ত করা গেছে। ভিডিওতে…
সাইমন সাদিক, ফ্রিল্যান্সিংয়ের যাত্রা শুরু করেন ২০১৮ সাল থেকে। ফ্রিল্যান্সিং মার্কেটপ্লেসে এবং বাইরে সফলতার সাথে…
বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর আরো একটি নতুন কন্টিনজেন্ট ‘বাংলাদেশ আর্মড হেলিকপ্টার ইউনিট’ এর ১ম দল গণতান্ত্রিক কঙ্গো…
পুনরায় নির্বাচিত হওয়ায় বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে অভিন্দন জানিয়েছেন রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন। বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রীর…
রিয়াদ প্রতিনিধি- ১০জানুয়ারী বুধবার স্হানীয় সময় রাত সাড়ে ১০ঘটিকায় হোটেল ডি-প্যালেসে রিয়াদ মহানগর বঙ্গবন্ধু ফাউন্ডেশন,…
দ্বাদশ সংসদ নির্বাচনে নারায়ণগঞ্জ-১ (রূপগঞ্জ) আসনের কয়েকটি ভোট কেন্দ্র পরিদর্শন করেছেন যুক্তরাষ্ট্র, জার্মানি ও আয়ারল্যান্ডের…
Leave a Comment