সুজন চৌধুরী, আলীকদম (বান্দরবান): সড়ক দুর্ঘটনায় নিহত ছোটনশীলের ঘাতক জীপ চালককে দ্রত গ্রেপ্তার ও ন্যায় বিচারের দাবিতে বান্দরবানের আলীকদম মানববন্ধন করেছেন উপজেলা ছাত্রলীগ,বন্ধুমহল ও বিভিন্ন সংগঠন।
রবিবার (১৭ এপ্রিল) সাড়ে এগারটায় উপজেলা পরিষদের সামনে সড়কে গত ২৯ মার্চ বধুর ঝিরি এলাকায়
বেপরোয়া জীপ গাড়ীর চাকায় পিষ্ঠ হয়ে মারা যাওয়া ছোটনশীলের ঘাতক চালকে দ্রুত গ্রেপ্তারের দাবিতে মানববন্ধনে অংশগ্রহন করেন রাজনৈতিক সংগঠনসহ বিভিন্ন সংগঠন ও নানা শ্রেণী পেশার লোকজন।
মানববন্ধনে নিহতের বোন সাগরিকা শীল বলেন, আমরা টাকা চাইনা,আমার ভাইয়ের হত্যাকারীর বিচার চাই। আমার ভাইকে ঘাতক চালক পরিকল্পিতভাবে হত্যা করেছে। আমার ভাইয়ের মৃত্যু নিশ্চিত করতে পুনরায় গাড়ী চাপা দিয়ে মেরেছে ঘাতক চালক,আমার ভাইটার কথা মনে পড়লে এক দৌড়ে ভাইটার কাছে ছুটে যেতে মন চাই,আমার ভাইটা কোথায় ? কিভাবে তার কাছে যাব?
তিনি আরও বলেন,প্রায় তিন সপ্তাহ পেরিয়ে গেলেও ঘাতক জীপ চালাককে গ্রেপ্তার করতে পারে নি লামা থানা পুলিশ। বরং মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা আসামীকে বাচাঁনোর চেষ্টা করছে এবং বাদিপক্ষকে নানা ভাবে হয়রানী করা হচ্ছে। প্রকৃত আসামীকে ধরতে আরও কত সময়ের প্রয়োজন পুলিশের?
মানববন্ধনে আরও বক্তব্য রাখেন উপজেলা আওয়ামীলীগের সহসভাপতি কামরুল হাসান টিপু, সমরঞ্জন বড়ুয়া উপজেলা আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক ও বান্দরবান জেলা পরিষদের সদস্য দুংড়িমং মার্মা,উপজেলা আওয়ামীলীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ও উপজেলা পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান কফিল উদ্দিন,সদর ইউনিয়নের.সদস্য আব্দুল মুবিন,উপজেলা শ্রমিকলীগের সাধারণ সম্পাদক মোঃ শামশুল আলম,উপজেলা ছাত্রলীগের সভাপতি জাবেদ হোসেন ও সাধারণ সম্পাদক শফিকুল ইসলাম,অন্বেষা শিক্ষাঙ্গনের শিক্ষক ও নিহতের বন্ধু আতিকুল ইসলাম ও বিকাশ কর্মকার।
মানববন্ধনে বক্ততারা বলেন, এই আধুনিক যুগে পুলিশ একজন খুনিকে ধরতে এক সময় লাগছে কেন,নাকি পুলিশ ইচ্ছে করে ধরছেনা? বছরের পর বছর ধরে লামা-আলীকদম চকরিয়া সড়কে বাস-জীপ মালিকরা অদক্ষ চালক ও ফিটনেস বিহীন গাড়ি চালাচ্ছে অথচ প্রশাসন অজানা কারণে নিরব ভূমিকা পালন করছেন। একটি তরতাজা প্রাণ অকালে গাড়ী চালকের বেপরোয়া গতীর কারণে ঝড়ে গেল।
ঘাতক চালক প্রকাশ্যে ঘুরে বেড়ালেও পুলিশ তাকে আটক করছে না। এখন পর্যন্ত নিহত ছোটনশীলের মোটর বাইক পরিবারের কাছে হস্তান্তর না করে মামলার তদন্ত কর্মকর্তা নানা তালবাহনায় অর্থ ব্যয় করাচ্ছেন। নিহতের পরিবার পুলিশের কাছে যে সহানুভুতিশীল আচরণ পাওয়ার কথা তার বিন্দু পরিমাত্র ও পাচ্ছেন না । তারা আরও বলেন,গাড়ীর মালিক গাড়ি পরিবর্তন করে একটি অকেজো গাড়ীতে সেই সচল গাড়ীর লট নাম্বার লাগিয়ে লামা থানায় হস্তান্তর করেন? জীপ মালিক একা এই কাজ করতে পারে না সংশ্লিষ্টদের সহযোগিতা ছাড়া।
লামা থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) শহিদুল ইসলাম চৌধুরী জানান,জীপ চালককে সনাক্ত হয়েছে এবং নজরদারিতে আছে। যেকোন সময় চালককে আটক করা হবে।তিনি আরও বলেন,বাদি মামলায় একটি লট নাম্বার উল্লেখ করছে সে নাম্বারযুক্ত জীপ গাড়ীটি আটক
করেছি। গাড়ী পরিবর্তন হলে বাদি যে গাড়ি বলবে সেটিও আটক করা হবে। গাড়ি মূখ্য নয়,মূখ্য হল গাড়ীর চালক। মামলা হয়েছে গাড়ী চালকের বিরুদ্ধে । নিহতের মোটর বাইক পরিবারকে দিতে পারি কিন্তুু একাধিক ওয়ারিশ থাকায় আদালত যাকে দিতে সিন্ধান্ত দিবে তাকেই বাইক হস্তান্তর করা হবে।