আলোচিত ধর্মীয় বক্তা আবু ত্ব-হা মুহাম্মদ আদনান গত বৃহস্পতিবার দিবাগত রাত থেকে নিখোঁজ রয়েছেন বলে অভিযোগ করেছে তাঁর পরিবার।
তার স্ত্রী সাবেকুন নাহার জানান, তিনি এদিন দুপুরে রংপুর থেকে ঢাকায় রওনা হয়েছিলেন। এ ঘটনায় রংপুর সদর থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি করা হয়েছে।
আগে আদনানের নিখোঁজ হওয়ার ঘটনায় রাজধানীর দারুসসালাম এবং মিরপুর থানায় গেলে কোন থানাই জিডি বা মামলা নেয়নি বলেও অভিযোগ করছে তাঁর পরিবার।
আদনানের নিখোঁজ হওয়ার বিষয়টি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে এখন ভাইরাল। তার ফ্যান-ফলোয়াররা হ্যাশট্যাগ দিয়ে তার খোঁজ পাওয়ার জন্য প্রচারণা চালাচ্ছেন।
জিডির তথ্য ধরে অনুসন্ধানে দেখা গেছে, রংপুর মহানগরীর সেন্ট্রাল রোডের আহলে হাদিস মসজিদ-সংলগ্ন গলিতে তার পৈত্রিক বাসা। বিয়ের পর স্ত্রী-সন্তানদের নিয়ে শালবন এলাকার চেয়ারম্যানের গলিতে একটি ভাড়া বাসায় বসবাস করতেন। আদনানের স্ত্রীর নাম হাবিবা নূর। তিন বছরের একটি মেয়ে ও দেড় বছর বসয়ী একটি ছেলে সন্তান আছে তাঁর।
আদনানের স্ত্রী বলেন, বৃহস্পতিবার দিবাগত রাত ২টা ৩৭ মিনিটে তার (আদনান) সঙ্গে শেষ কথা হয়। উনি তখন গাবতলী ছিলেন। এরপর রাত ৩টা থেকে তার ফোন বন্ধ পাই, এখনো পর্যন্ত নম্বর বন্ধই পাচ্ছি।
তিনি আরও জানান, নিখোঁজ হওয়ার সময় তার সঙ্গে গাড়ি চালকসহ আরও তিনজন সহকর্মী ছিলেন।
অভিযোগ করে বলেন, কোথায় মামলা করব, কার কাছে অভিযোগ করব? মামলা করব কী, কেউ তো জিডিই নিতে রাজি হচ্ছে না। দারুসসালাম থানা কিংবা মিরপুর থানা কেউই মামলা নেয়নি। থানায় ঘুরে ঘুরে ক্লান্ত হয়ে যাচ্ছি।
কোনো থানাই দায়িত্ব নিচ্ছে না, এক থানা আরেক থানাকে দেখিয়ে দিচ্ছে। তবে রোববার সকালে রংপুর সদর থানায় একটি জিডি হয়েছে আদনানের মায়ের পক্ষ থেকে।
অভিযোগের বিষয়ে দারুসসালাম থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা তোফায়েল আহমেদ বলেন, তিনি কোথা থেকে নিখোঁজ হয়েছেন, সেই লোকেশনটা তো আমরা নিশ্চিত না। তিনি গাবতলী থেকে নিখোঁজ হইছেন, সেটা তো আমরা জানি না।
সেক্ষেত্রে যেখান থেকে তিনি রওনা হয়েছেন, সেই রংপুর অথবা তার ঢাকায় যেখানে বাসা, সেখানে জিডি হতে পারে বা মামলা হতে পারে।