ইসলামের জন্য সর্বোচ্চ ত্যাগ করাই মাওলানা সৈয়দ মুহাম্মাদ ফজলুল করীম ও আল্লামা শাহ আহমদ শফীর জীবনাদর্শ।
নাস্তিক মুরতাদ ও শয়তানি শক্তির বিরুদ্ধে কঠোর অবস্থান নেয়াসহ ইসলামী শিক্ষা প্রসারে ভূমিকা রাখেন মরহুম আল্লামা শাহ আহমদ শফী। তার অবর্তমানে ইসলামী জগতে যে শূন্যতা তৈরি হয়েছে তা সহজে পূরণ হবার নয়।
জাতীয় প্রেস ক্লাব সংলগ্ন বিএমএ মিলনায়তনে ইসলামী যুব আন্দোলন আয়োজিত এক আলোচনা সভায় ইসলামী আন্দোলনের আমির ও চরমোনাই পীর মুফতি সৈয়দ মুহাম্মদ রেজাউল করীম এসব কথা বলেন।
মাওলানা সৈয়দ মুহাম্মাদ ফজলুল করীম (রহ.) ও আল্লামা শাহ আহমদ শফী (রহ.)-এর জীবন ও কর্ম’ শীর্ষক আলোচনা সভা ও দোয়া মাহফিলে শুভেচ্ছা বক্তব্য দেন তিনি।
চরমোনাই পীর তার বক্তব্যে সরকারের ব্যর্থতার সমালোচনা করে বলেন, করোনা সংকটের কারণে মানুষ আজ দিশাহারা।
এর মধ্যেও সরকার নিত্য প্রয়োজনীয় দ্রব্যের দাম সাধারণ মানুষের ক্রয় ক্ষমতার মধ্যে রাখতে পারে নাই এবং যারা দেশের অর্থনীতির চাকা সচল রেখেছে সেই প্রবাসীরা নানা সমস্যার মধ্যে আছে, তাদের সমস্যা সমাধানে সরকার কোনো পদক্ষেপ গ্রহণ করতে পারে নাই।
মাওলানা সৈয়দ মুহাম্মাদ ফজলুল করীম রহ. খানকার পীর ময়দানে বীরএ উপাধিতে তিনি পরিচিত হয়ে উঠেছিলেন বাংলাদেশের জনসাধারণের মাঝে।
গতানুগতিক নিয়মের খানকায় আরাম আয়েসে বসে তিনি শুধু ইসলামের দিকে মানুষকে দাওয়াত দেননি। ইসলাম, দেশ এবং মানুষের যেকোনো প্রয়োজনে তিনি রাজপথে গর্জে উঠেছিলেন। বিপ্লবী মানুষদের নেতৃত্ব দিয়েছেন আপসহীন ভূমিকায় থেকে।
আমরণ রাজনৈতিক অঙ্গনে বিচরণ করলেও লোভ, লালসা আর অপরাজনীতি স্পর্শ করতে পারেনি তাকে। তিনি ছিলেন, আজীবন সংগ্রামী একজন মানুষ গড়ার কারিগর।
কেন্দ্রীয় সভাপতি কে এম আতিকুর রহমানের সভাপতিত্বে ও সেক্রেটারি জেনারেল মাওলানা মুহাম্মাদ নেছার উদ্দিনের পরিচালনায় আলোচনা সভায় বক্তব্য রাখেন মুফতি উমর ফারুক সন্দিপী, মাওলানা মামুনুল হক ইসলামী আন্দোলনের সিনিয়ার নায়বে আমির মুফতি সৈয়দ মুহাম্মদ ফয়জুল করিম (শায়েখে চরমোনাই), প্রেসিডিয়াম সদস্য অধ্যক্ষ মাওলানা সৈয়দ মোসাদ্দেক বিল্লাহ আল-মাদানী, আল্লামা নুরুল হুদা ফয়েজী, মাওলানা আব্দুল আউয়াল, মহাসচিব, অধ্যক্ষ হাফেজ মাওলানা ইউনুছ আহমাদ, মাওলানা খালেদ সাইফুল্লাহ আইয়ুবী, মাওলানা হাসান জামিল, মাওলানা উবায়দুর রহমান খান প্রমুখ।