দিনাজপুরের ঘোড়াঘাট উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) ওয়াহিদা খানমের ওপর হামলার ঘটনায় থানায় মামলা দায়ের হয়েছে।
বৃহস্পতিবার (৩ সেপ্টেম্বর) দিবাগত রাতে ঘোড়াঘাট থানায় অজ্ঞাত ৪ থেকে ৫ জনকে আসামি করে এজাহার দাখিল করা হলে পুলিশ আমলে নিয়ে মামলা হিসেবে লিপিবদ্ধ করে।
ঘোড়াঘাট থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আমিরুল ইসলাম জানান, ইউএনওর ভাই মো. শেখ ফরিদ উদ্দিন বাদী হয়ে এই এজাহার দায়ের করেছেন।
ওয়াহিদা খানমের ওপর হামলার ঘটনায় অতিরিক্ত বিভাগীয় কমিশনারকে প্রধান করে তিন সদস্য বিশিষ্ট একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে।
বৃহস্পতিবার রাত ৮টায় দিনাজপুরের অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (রাজস্ব) আবু সালেহ মো. মাহফুজুল হক এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
গভীর রাতে দিনাজপুরের ঘোড়াঘাট উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ওয়াহিদা খানমের সরকারি বাসভবনে ভেনটিলেটর ভেঙে প্রবেশ করে তার ওপর হামলা করে দুর্বৃত্তরা। ভারি ও ধারালো অস্ত্র দিয়ে কুপিয়ে তাকে গুরুতর আহত করে এবং মৃত ভেবে ফেলে রেখে পালিয়ে যায়।
আর মেয়েকে বাঁচাতে এলে ওয়াহিদার বাবা মুক্তিযোদ্ধা ওমর আলী শেখকেও (৭০) জখম করে। গুরুতর আহত ইউএনও ও তার বাবাকে উদ্ধার করে রংপুর মেডিক্যাল হাসপাতালে পাঠানো হলে সেখান থেকে এয়ার অ্যাম্বুলেন্সে করে ইউএনও ওয়াহিদাকে ঢাকায় উন্নত চিকিৎসার জন্য পাঠানো হয়।
নিউরোসাইন্স হাসপাতালে বৃহস্পতিবার রাতে তার প্রথম অস্ত্রোপচার সম্পন্ন হয়। হাসপাতালের উপ-পরিচালক অধ্যাপক ডা. বদরুল আলম বিষয়টি গণমাধ্যমে নিশ্চিত করেছেন। তিনি জানান, ইউএনও ওয়াহিদার অস্ত্রোপচার সম্পন্ন হয়েছে।
অস্ত্রোপচার শেষে তাকে আইসিইউতে অবজারভেসনে রাখা হয়েছে। আগের চেয়ে অবস্থা কিছুটা উন্নতি বলা যায়, তবে তিনি এখনো শঙ্কামুক্ত নন।