রাজবাড়ীর বসন্তপুরে এক চিকিৎসক তরুণীকে সংঘবদ্ধ ধর্ষণের ঘটনায় তিন যুবককে ফাঁসির দণ্ডাদেশ এবং প্রত্যেককে এক লাখ টাকা করে জরিমানার আদেশ দিয়েছেন আদালত।
বুধবার রাজবাড়ীর নারী ও শিশু নির্যাতন দমন বিশেষ আদালতের বিচারক নিগার সুলতানা এ রায় প্রদান করেন।
রাজবাড়ীর পাবলিক প্রসিকিউটর অ্যাডভোকেট উজিন আলী শেখ এবং নারী ও শিশু নির্যাতন দমন বিশেষ আদালতের এপিপি অ্যাডভোকেট উমা সেন রায়ের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
দণ্ডপ্রাপ্তরা হলো রাজবাড়ী সদর উপজেলার খানখানাপুর ইউনিয়নের দত্তপাড়া গ্রামের আরশাদ মোল্লার ছেলে মামুন মোল্লা (২০), সদর উপজেলার বসন্তপুর ইউনিয়নের মজলিশপুর গ্রামের মৃত মুন্নাফ সরদারের ছেলে হান্নান সরদার (৩০) ও একই মৃত আবুল মোল্লা ছেলে রানা মোল্লা (২৫)।
মুন্সিগঞ্জ থেকে আসা এক চিকিৎসক তরুণী ২০১৮ সালের ২৫ ফেব্রুয়ারি রাত ৮টার দিকে রাজবাড়ীর গোয়ালন্দ মোড় এসে নামে এবং সে ফরিদপুরে যাওয়ার জন্য গাড়ির সন্ধান করে।
সে সময় এক অটোরিকশাচালক ওই তরুণীকে বলে এখান থেকে ফরিদপুরের গাড়ি পাওয়া যাবে না। আমার অটোতে ওঠেন, শিবরামপুর গেলে ফরিদপুরের গাড়ীতে উঠিয়ে দেব’। এ সময় তরুণী অটোরিকশায় ওঠেন। অটোরিকশায় চালক ছাড়াও আরো দুজন যুবক বসা ছিল।
এরপর গোয়ালন্দ মোড়-শিবরামপুরের মাঝামাঝি বসন্তপুর এলাকার নির্জন জায়গায় অটোটি দাঁড় করিয়ে চালকসহ তিনজন মিলে রাস্তার পাশে নিয়ে তরুণীকে ধর্ষণ করে। সে সময় তরুণীর চিৎকারে স্থানীয়রা এগিয়ে আসে এবং ওই তিন যুবক অটোরিকশা নিয়ে পালিয়ে যায়।
পরে স্থানীয়রা বিষয়টি র্যাব-৮ ফরিদপুর ক্যাম্পের সদস্যদের অবহিত করে। র্যাব সদস্যরা ওই তরুণীকে উদ্ধার করার পাশাপাশি তিন যুবককেই গ্রেপ্তার করে রাজবাড়ী থানায় সোপর্দ করে।
এ ঘটনায় ওই তরুণী বাদী হয়ে রাজবাড়ী থানায় একটি মামলা দায়ের করেন। ওই মামলার দীর্ঘ স্বাক্ষ্যগ্রহণ শেষে আসামিদের উপস্থিতিতে আদালত ওই তিনজনকে ফাঁসির দণ্ডাদেশ এবং প্রত্যেককে এক লাখ টাকা করে জরিমানার আদেশ প্রদান করে।