এখনও নিয়ন্ত্রণে আনা সম্ভব বলে জানিয়েছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা। শুক্রবার এক সংবাদ সম্মেলনে এ কথা জানান তিনি।
যেসব জায়গায় করোনা সংক্রমণ সবচেয়ে বেশি, সেখানে বেশি মাত্রায় টেস্ট করার কথা বলেছেন হু-এর প্রধান টেড্রস আধানম। ভিয়েতনাম, কম্বোডিয়া, থাইল্যান্ড, নিউজিল্যান্ড, ইতালির কথাও উল্লেখ করেছেন তিনি।
বিশ্বে এমন একাধিক জায়গার উদাহরণ রয়েছে, যেখানে করোনা পরিস্থিতি বেড়ে যাওয়ার পরও নিয়ন্ত্রণে আনা সম্ভব হয়েছে।
এদিকে, গত কয়েকদিন ধরে একটি খবরে আরও বেশি উদ্বেগ বেড়েছে সাধারণ মানুষের। বিজ্ঞানীরা জানিয়েছেন, করোনা ভাইরাস বায়ুবাহিত। অর্থাৎ বাতাস থেকেও ছড়াতে পারে ভাইরাস।
৩২টি দেশের ২৩০ জন বিজ্ঞানী জোর গলায় দাবি করেছেন, করোনাভাইরাস বায়ুবাহিত। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থাকে নিজেদের নির্দেশিকা পাল্টানোর আর্জি জানানো হয়েছে। এরপরই হু নতুন করে বিষয়টি খতিয়ে দেখতে শুরু করে।
নতুন এই তত্ত্ব নিয়ে শুরু হয়েছে জোর জল্পনা। তবে কী ভয় বাড়ছে আরও? এবার এই বিষয়ে মুখ খুললেন বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার চিফ সায়েন্টিস্ট সৌম্যা স্বামীনাথন।
খুব অল্প কিছু ক্ষেত্রে করোনার জীবাণু বাতাসে বাঁচতে পারে, সংক্রমণও ঘটাতে পারে। এই যে আমরা কথা বলছি, গান গাইছি এমনকী শ্বাসপ্রশ্বাস নিচ্ছি এর মাধ্যমে মুখ থেকে অসংখ্য ছোট ছোট জলের ফোঁটা নির্গত হচ্ছে। এগুলির আকার ভিন্ন ভিন্ন।
যেগুলি বড় সেগুলো ১-২ মিটারের মধ্যে মাটিতে পড়ে যায়। তাই সোশ্যাল ডিসট্যান্সিং-এর কথা বলা হয়। তবে যেসব কণা আকারে অপেক্ষাকৃত ছোট অর্থাৎ ৫ মাইক্রনেরও কম, তাদের বলে এরোসোল। এগুলো বাতাসে আরও কিছু সময় থাকতে পারে, মাটিতে পড়তে একটু বেশি সময় নেয়। ফলে, হাওয়ায় এদিক ওদিক হতে পারে সেগুলো। সেই কণা কেউ প্রশ্বাসের সঙ্গে গ্রহণ কর; এ সংক্রমণ হতে পারে।
করোনার বায়ুবাহিত সংক্রমণ হামের মত নয়। তিনি জানিয়েছেন, হামের জীবাণু প্রকৃত অর্থেই বায়ুবাহিত। এই রোগ প্রাথমিকভাবে ছড়ায় বাতাস থেকে। তার কথায়, এটি হামের মত বাতাসে ছড়ালে এতোদিনে আমরা সকলে করোনা আক্রান্ত হতাম।