সাম্প্রতিক শিরোনাম

এসআই আকবর হোসেন ভূঁইয়ার দেশত্যাগ ঠেকাতে ইমিগ্রেশন কর্তৃপক্ষকে চিঠি

সিলেটে পুলিশ হেফাজতে নির্যাতনে রায়হান আহমেদ (৩৩) নামের এক যুবকের মৃত্যুর ঘটনায় প্রধান আসামি কোতোয়ালি থানার বন্দরবাজার ফাঁড়ির ইনচার্জ এসআই (সাময়িক বরখাস্ত) আকবর হোসেন ভূঁইয়ার দেশত্যাগ ঠেকাতে ইমিগ্রেশন কর্তৃপক্ষকে চিঠি দিয়েছে পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই)।

সংস্থাটির প্রধান ডিআইজি বনজ কুমার মজুমদার বৃহস্পতিবার ধানমণ্ডিতে এক সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানান।

ডিআইজি বলেন, পুলিশ হেফাজতে এক যুবকের মৃত্যুর ঘটনায় দায়ের হওয়া মামলার কেস ডকেট আমরা গত মঙ্গলবার রাতে পেয়েছি। ঘটনাস্থলে সিলেটের পিবিআই টিম তিন থেকে চার ঘণ্টা ছিল। আমরা তদন্ত শুরু করে দিয়েছি। তদন্তের প্রাথমিক পর্যায়ে আমাদের মনে হয়েছে, সাময়িক বরখাস্ত হওয়া উপপরিদর্শক আকবরকে আমাদের দরকার।

তিনি যেন কোনোভাবেই দেশ ছেড়ে পালিয়ে যেতে না পারেন। স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকেও সীমান্তের বিভিন্ন ইমিগ্রেশন সেন্টারে জানিয়ে দেওয়া হয়েছে, আকবর যেন দেশ ছেড়ে পালিয়ে যেতে না পারে। তাকে ধরার জন্য আমরা টিম রেডি করেছি। তাঁকে আমাদের খুবই দরকার।

আকবরের বিষয়ে কোনো চিন্তা করার সুযোগ নেই জানিয়ে পিবিআই প্রধান বলেন, আকবর যেহেতু এই অপকর্ম করে বাহিনীর সুনাম নষ্ট করেছে এবং সে আমাদের কথা চিন্তা করেনি, সুতরাং তার বিষয়ে কোনো চিন্তা করার সুযোগ নেই।

গত শনিবার মধ্যরাতে রায়হানকে তুলে নিয়ে কোতোয়ালি থানাধীন বন্দরবাজার ফাঁড়িতে আটকে রেখে নির্যাতন করা হয় বলে অভিযোগ করে তাঁর পরিবার।

সকালে তিনি মারা যান। নির্যাতনের সময় এক পুলিশের মুঠোফোন থেকে রায়হানের পরিবারের কাছে কল করে টাকা চাওয়া হয়। পরিবারের সদস্যরা সকালে ফাঁড়ি থেকে হাসপাতালে গিয়ে রায়হানের লাশ শনাক্ত করেন।

এ ঘটনার শুরুতে ওই ফাঁড়ির পুলিশ সদস্যরা ছিনতাইকারী সন্দেহে নগরের কাষ্টঘর এলাকায় গণপিটুনিতে রায়হান নিহত হয়েছেন বলে প্রচারণা চালায়।

কিন্তু গণপিটুনির স্থান হিসেবে যেখানকার কথা বলছিল পুলিশ, সেখানে স্থানীয় ওয়ার্ড কাউন্সিলরের স্থাপন করা ক্লোজড সার্কিট (সিসি) ক্যামেরায় এমন কোনো দৃশ্য দেখা যায়নি।

বন্দরবাজার ফাঁড়িতে এনে এসআই আকবরের নেতৃত্বেই রায়হানের ওপর নির্যাতন চালানো হয়েছিল। পুলিশের একটি সূত্রে জানা গেছে, ঘটনার রাতে নগরের কাষ্টঘর এলাকা থেকে রায়হানকে ধরে ফাঁড়িতে নিয়ে আসেন পুলিশের সহকারী উপপরিদর্শক (এএসআই) আশিক এলাহী। এ সময় দুই কনস্টেবল রায়হানকে দুই দিক থেকে ধরে রাখেন।

আর এসআই আকবর নির্যাতন চালান। একপর্যায়ে রায়হানকে ফাঁড়িতে রেখেই বেরিয়ে যান আকবর, আশিকসহ নির্যাতনকারী পুলিশ সদস্যরা। এরপর ফাঁড়িতে ডিউটিতে থাকা এক কনস্টেবল ভোর ৬টার দিকে দেখতে পান, রায়হানের নিথর দেহ পড়ে আছে। তিনি আকবরকে বিষয়টি জানালে তাঁরা ফাঁড়িতে ফিরে আসেন।

সকাল ৬টা ২২ মিনিটে একটি অটোরিকশা আসে বন্দর ফাঁড়ির সামনে। এর ঠিক ২ মিনিট পর ৬টা ২৪ মিনিট ২৪ সেকেন্ডে দুই পুলিশের কাঁধে ভর করে রায়হানকে অটোরিকশায় তুলতে দেখা যায়। এরপর তাঁকে সিলেট এমএজি ওসমানী মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে নেওয়া হয়। তখনো জীবিত ছিলেন রায়হান। হাসপাতালে নেওয়ার পর তিনি মারা যান।

এ ঘটনার পরদিন সোমবার রাত পর্যন্ত নির্যাতনের মূল হোতা এসআই আকবর পুলিশের জিম্মায় ছিলেন। ওই দিন সিলেট মহানগর পুলিশের গঠিত তদন্ত দলের মুখোমুখিও হন তিনি। পরে বিভিন্ন সূত্র দাবি করে, ওই রাত থেকেই আকবর পলাতক। কিন্তু এ বিষয়ে পুলিশের স্পষ্ট কোনো বক্তব্য পাওয়া যায়নি।

সর্বশেষ

প্রধানমন্ত্রীকে পুতিনের অভিনন্দন

পুনরায় নির্বাচিত হওয়ায় বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে অভিন্দন জানিয়েছেন রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন।বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রীর কাছে পাঠানো এক পত্রে পুতিন বলেন ‘রাশিয়া-বাংলাদেশ সম্পর্ক ঐতিহ্যগতভাবে বন্ধুত্বের...

আওয়ামী লীগের বিজয় উৎসব উদযাপন করলো রিয়াদ মহানগর বঙ্গবন্ধু ফাউন্ডেশন

রিয়াদ প্রতিনিধি- ১০জানুয়ারী বুধবার স্হানীয় সময় রাত সাড়ে ১০ঘটিকায় হোটেল ডি-প্যালেসে রিয়াদ মহানগর বঙ্গবন্ধু ফাউন্ডেশন, আল খারজ বঙ্গবন্ধু ফাউন্ডেশন ও আল কাসিম বঙ্গবন্ধু ফাউন্ডেশন...

পর্যবেক্ষণে গিয়ে সন্তুষ্ট যুক্তরাষ্ট্র, জার্মানি, আয়ারল্যান্ড ও সুইস পর্যবেক্ষকরা

দ্বাদশ সংসদ নির্বাচনে নারায়ণগঞ্জ-১ (রূপগঞ্জ) আসনের কয়েকটি ভোট কেন্দ্র পরিদর্শন করেছেন যুক্তরাষ্ট্র, জার্মানি ও আয়ারল্যান্ডের ও সুইস পর্যবেক্ষক দল।দুপুর একটার দিকে উপজেলার কয়েকটি ভোট...

ভিডিও কনফারেন্সে মিটিং করে ট্রেনে আগুন দেয়ার সিদ্ধান্ত নেয় বিএনপি নেতারা

নির্বাচনের আগে দেশে বিশৃঙ্খল পরিস্থিতি সৃষ্টি করে বিদেশি সংস্থা, মিডিয়া ও বিভিন্ন দেশের মনোযোগ নেয়ার উদ্দেশ্যই ট্রেনে আগুন দেয়া হয় বলে জানায় ডিবি। বিএনপি...