ঘোড়াঘাট উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) ওয়াহিদা খানম ও তার মুক্তিযোদ্ধা বাবা ওমর আলীর ওপর দুষ্কৃতকারীদের হামলার ঘটনায় নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়েছেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।
রাষ্ট্র পরিচালনায় সরকারের নৈতিক ভিত্তি নেই মন্তব্য করে তিনি বলেন, এখন সরকারি কর্মকর্তারাও হিংস্রতার শিকার হচ্ছেন।
গণমাধ্যমে পাঠানো এক বিবৃতিতে তিনি এ কথা বলবেন। তিনি উইএনও ওয়াহিদা খানম ও তার পিতার ওপর বর্বরোচিত হামলার ঘটনায় গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করেন।
ওয়াহিদা খানমের মতো উপজেলা পর্যায়ের একজন সর্বোচ্চ সরকারি কর্মকর্তার ওপর সন্ত্রাসীদের নৃশংস ও পৈশাচিক হামলার ঘটনায় এটি আবারও প্রমাণিত হলো যে, এই সরকার দেশকে ব্যর্থ রাষ্ট্রে পরিণত করেছে।
বর্তমান সরকারের কোনো নৈতিক ভিত্তি নেই। এরা সন্ত্রাসকে আশ্রয় করেই নিজেদের ক্ষমতা দীর্ঘস্থায়ী করতে চাচ্ছে।
দুষ্কৃতকারীরা যেই হোক ইতোপূর্বে যদি তাদেরকে আইনের আওতায় এনে শাস্তি দেওয়া হতো তাহলে ঘোড়াঘাট উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আক্রমণের শিকার হতেন না। দেশে এখন আইন-কানুনের কোনো বালাই নেই।
হত্যা, খুন, জখম, টাকা পাচার, মানব পাচার, আর্থিক প্রতিষ্ঠান লোপাট, টেন্ডারবাজি ও জবরদস্তি কায়েমের মতো অনাচার আড়াল করতেই দেশব্যাপী দুষ্কৃতকারীদের প্রশ্রয় দিয়ে রক্তাক্ত কর্মসূচির ধারা অব্যাহত রাখা হয়েছে। এরই সর্বশেষ শিকার হলেন ঘোড়াঘাট উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ওয়াহিদা খানম।
সরকারবিরোধী দল ও মতকে দমন করে যাচ্ছে রক্তাক্ত কায়দায়। এখন সরকারি কর্মকর্তারাও এদের হিংস্রতার শিকার হচ্ছে।
সাবেক সেনা কর্মকর্তা মেজর সিনহাকে হত্যাসহ ক্ষমতাসীন হওয়ার পর থেকে বর্তমান সরকার বিচারবহির্ভূত হত্যা যেভাবে সংঘটিত করছে তাতে দুস্কৃতিকারীরা উৎসাহ পাচ্ছে।
দুষ্কৃতকারীরা যেই হোক ইতোপূর্বে যদি তাদেরকে আইনের আওতায় এনে শাস্তি দেওয়া হতো তাহলে ঘোড়াঘাট উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আক্রমণের শিকার হতেন না।
নির্মম এ হামলার ঘটনায় নিন্দা জানানোর কোনো ভাষা আমার জানা নেই। ন্যাক্কারজনক হামলা চালিয়ে ওয়াহিদা খানমকে গুরুতর আহত করার ঘটনা নিঃসন্দেহে একটি রাষ্ট্রের জন্য অশুভ সঙ্কেত।
আমি দুষ্কৃতকারীদের অবিলম্বে গ্রেপ্তার ও দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির জোর দাবি জানাচ্ছি। পাশাপাশি ওয়াহিদা খানমের পরিবারবর্গ ও নিকটজনদের প্রতি গভীর সমবেদনা জ্ঞাপন করছি।
