গতকাল রাত ১টার দিকে টেকনাফের শামলাপুল মেরিন ড্রাইভ সংলগ্ন সমুদ্র সৈকত এলাকায় গোপন সংবাদের ভিত্তিতে রো’হিঙ্গা ডা’কাত দলের অবস্হান নিশ্চিত হওয়ার পর অভিযানে নামে র্যাব। সে সময় ডা’কাতরা র্যাবকে লক্ষ্য করে গু’লি চালায়। এতে র্যাবের হাবিলদার খায়রুল, এএসআই আবু কায়সার ও সার্জেন্ট হুমায়ুন আহত হন। আত্মরক্ষার্থে র্যাবও পাল্টা গু’লি চালালে ডা’কাত দল পালিয়ে যায়। এ সময় গু’লিবিদ্ধ অবস্থায় রো’হিঙ্গা ডাকাত নুর কামাল ও সাইফুল ইসলামের দেহ উদ্ধার করা হয়।
নি’হত ডাকাতরা হলেন, টেকনাফ উপজেলার লেদা রো’হিঙ্গা ক্যাম্পের নুর আহমদের ছেলে নুর কামাল ওরফে ডাকাত সোনায়া ও মৌচনি ক্যাম্পের আবদুস শুক্কুরের ছেলে সাইফুল ইসলাম ওরফে ডিবি সাইফুল। তারা দুজনই সাত বছর আগে মিয়ানমার থেকে পালিয়ে এসে এখানে আশ্রয় নিয়েছিলেন। নিহত দুজনই ক্যাম্পের ত্রাস কুখ্যাত ডা’কাত জকিরের সহযোগী এবং অ’স্ত্র ও আ’ইন শৃ’ঙ্খলাবাহিনীর পোশাক সংগ্রহের দায়িত্বে ছিল। তাদের কাছে বাংলাদেশি জাতীয় পরিচয়পত্র পাওয়া গেছে। গত বছরের ৩০ নভেম্বর ক্যাম্পে মাদ’কবিরোধী অভিযানে গেলে তাদের হাতে র্যাবের দুই সদস্য গু’লিবিদ্ধ হয়। এতে তাদের ধরতে গোয়েন্দা নজরদারি বাড়ানো হয়।
উল্লেখ্য, ২০১৮ সালের মে থেকে মা’দকবিরোধী অভিযান শুরুর পর কক্সবাজারে ব’ন্দুকযুদ্ধের ঘটনা বেড়েছে। গত ১১ মার্চ পর্যন্ত মোট ৭৭ জন রো’হিঙ্গা ‘বন্দু’কযুদ্ধে’ নি’হত হয়েছে বলে আ’ইনশৃঙ্খলা বাহিনী সূত্রে জানা গেছে। এর মধ্যে পু’লিশের অভিযানে ৩১, বিজিবির অভিযানে ২২ এবং র্যাবের অভিযানে ২৪ জন রো’হিঙ্গা নিহত হয়েছে। চলতি বছরেই মোট ৯ জন রো’হিঙ্গা ডাকাত RAB এর সাথে ব’ন্দুক যু’দ্ধে নিহ’ত হয়। গত মাসে একদিনে ৭ জন এবং চলতি মাসে ২ জন।