বোরহান মেহেদী, নরসিংদী: করোনা ভাইরাসের লক্ষণ সন্দেহে নরসিংদীর পলাশ উপজেলার ঘোড়াশাল পৌর এলাকার ৭ ওয়ার্ডের পিরিন্দার টেক গ্রামের পুরুষের নমুনা পরীক্ষার জন্য ঢাকায় পাঠানো হয়েছে বলে জানান পলাশ উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডাঃ আল বেলাল। তিনি জানান,বুধবার সন্ধায় নরসিংদী ও পলাশের একটি যৌথ মেডিকেল টিম তার নমুনা সংগ্রহ করে। নমুনা আজ বৃহস্পতিবার সকালে ঢাকায় পাঠানো হয়েছে। আগামীকাল জানা যাবে করোনা আক্রান্ত সন্দেহ পুরুষের শরীলে করোনা ভাইরাস আছে কিনা।
এদিকে সন্দেহে আক্রান্ত পুরুষের বাড়িসহ তার পাশের একটি বাড়ি লকডাউন করে তার বাড়ির গেইটে লাল কাপড় টাঙ্গিয়ে দিয়েছে পলাশ উপজেলা প্রশাসন।
এদিকে ঘোড়াশাল পুলিশ ফঁাড়ি ইনচার্জ,পুলিশ পরিদর্শক জহিরুল আলম জানান, লকডাউনের পর থেকে ওই বাড়ির দুইপাশে পুলিশ মোতায়েন করে বাড়ির দুইপাশের রাস্তা বাশেঁর বেড়া দিয়ে বন্ধ করে দেয়া হয়েছে। এছাড়া লকডাউন হওয়া বাড়ি গুলোতে খাদ্যসামগ্রী সরবরাহের ব্যবস্থা করছে পুলিশ ও উপজেলা প্রশাসন।
পলাশ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা(অ.দা.)ফারহানা আলী জানান, পিরিন্দার টেক গ্রামের এক বাড়িতে ৩৮ বছরের এক পুরুষের করোনাভাইরাসের লক্ষণ গুলো দেখা দিলে তাৎক্ষণিক বুধবার দুপুরে ওই বাড়িসহ পাশের একটি বাড়ি লকডাউন করা হয়। এছাড়া ওই বাড়ির আশেপাশে জনসাধারণের চলাচলে ও নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছে। তিনি আরো জানান, সন্দেহ জনক ব্যক্তি গত কয়েকদিন আগে নরসিংদী শহরে ইতালি ফেরত তার এক বোনের বাড়ি বেড়াতে যায়। ধারণা করা হচ্ছে সেখান থেকে সংস্পর্শে এসে তিনি আক্রান্ত হতে পারেন।
আক্রান্ত ব্যক্তি দুই শিশু কন্যা ও স্ত্রী নিয়ে পিরিন্দারটেক গ্রামে বসবাস করে আসছেন।গত ৫/৬ দিন ধরে তিনি জ্বর,ঠান্ডা,ডায়রিয়াসহ প্রচন্ড গলা ব্যাথায় ভথগছেন। প্রাথমিক ভাবে করোনা সন্দেহে ওই বাড়ি ও এর পাশের কয়েকটি বাড়ি লকডাউন করা হয়েছে। আক্রান্ত ব্যক্তির নমুনা আইসিডিআরে পাঠানো হয়েছে। বুধবার রাতে নরসিংদী জেলা প্রশাসক মহোদয় লকডাউনে থাকা দুই বাড়ীর লোকজনদের জন্য খাদ্য সামগ্রী পাঠালে রাতেই আমি তাদের বাড়ীতে খাবার দিয়ে আসি। এদিকে লকডাউনে থাকা দুটি বাড়িতেই পুলিশ মোতায়েন রয়েছে।