করোনার মধ্যও স্বাভাবিক হয়ে আসছে সব কিছু

সাম্প্রতিক সংবাদ
মুনতাহা মিহীর
Sponsored

করোনাভাইরাসের সংক্রমণ বাড়ছে কি না তা নিয়ে সরকারি-বেসরকারি তথ্যগত বিতর্ক আছে। তবে সংক্রমণ যে খুব একটা কমছে না তা একবাক্যে মানছেন সবাই। বিশেষ করে দেশে সংক্রমণের ২২ সপ্তাহের মধ্যে আট সপ্তাহ ধরেই সাপ্তাহিক মৃত্যুর সংখ্যাটা উঠানামা করছে ২৫৮ থেকে ৩০৮-এর মধ্যে।

মৃত্যু এক দিন ৩০ জনের নিচে নামছে তো আরেক দিন ৪০ জনের ওপরে উঠে যাচ্ছে। সপ্তাহের হিসাবে শনাক্তের সংখ্যাও ঘুরছে ১৮ হাজার থেকে সর্বোচ্চ ২৫ হাজারের মধ্যে। এর মাঝেই স্বাভাবিক হয়ে আসছে সব কিছু।

এমন পরিস্থিতিতে ঝুঁকির মধ্যেই উচ্চ আদালত ও শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বাদে দেশের সব সরকারি-বেসরকারি প্রতিষ্ঠান এরই মধ্যে সচল হয়ে উঠেছে। শুরুতে কিছুটা সীমিত পরিসরে চালুর কথা বললেও বাস্তবে শেষ পর্যন্ত আর কোনো কিছুই সীমিত থাকছে না। স্বাস্থ্যবিধিও নির্দেশনামতো মানা হচ্ছে না।

ঈদের আগেই শপিং মল থেকে শুরু করে নিত্যদিনের হাটবাজারের পরিস্থিতি স্বাভাবিক হয়ে এসেছে। খুলে গেছে হোটেল-মোটেলও। রেস্তোরাঁও ফিরছে আগের চেহারায়। ফুটপাতের বেচাকেনা, যানবাহন চলাচল, পথখাবারের পসরা—সর্বত্র অনেকটা আগের চিত্র। ঈদ, বন্যা, আর্থসামাজিক ও আইন-শৃঙ্খলাজনিত নানা ইস্যুতে করোনা থেকে মানুষের দৃষ্টি অন্যদিকে ঘুরে যাচ্ছে—এমনটাও বলছেন অনেকেই।

দেশে করোনাভাইরাসে শনাক্ত ও মৃত্যু আট সপ্তাহ ধরে একই বলয়ে ঘুরছে।

ঢাকা, চট্টগ্রাম, নারায়ণগঞ্জ কিংবা গাজীপুরে সংক্রমণ আগের তুলনায় কমলেও দেশের অন্যান্য অঞ্চলে তুলনামূলক বাড়ছে। আবার কোরবানির ঈদকেন্দ্রিক অবাধ জনচলাচলের কারণে আগামী দুই-তিন সপ্তাহ সংক্রমণে ঊর্ধ্বগতির ঝুঁকি তৈরি হয়েছে। তাই এখনই সব কিছু স্বাভাবিক করে দেওয়া সমীচীন হচ্ছে না। এখন আরো নিয়ন্ত্রণে রাখা প্রয়োজন।

অধ্যাপক ডা. মো. নজরুল ইসলাম বলেন, ‘মানুষ কোনো কিছুই মানছে না, মাস্ক পরার নির্দেশনাও পালন করছে না, দোকানপাট গভীর রাত পর্যন্ত খোলা থাকছে। ঝুঁকি মাথায় নিয়ে সব কিছু স্বাভাবিক হতে দিলে ঝুঁকি আরো বেড়ে যাবে। বিশেষ করে সামনের সপ্তাহ থেকে পরিস্থিতি খারাপ হওয়ার শঙ্কা রয়েই গেছে।

সব কিছু স্বাভাবিক হওয়া ভালো। কিন্তু এই মহামারির ঝুঁকি মোকাবেলায় গৃহীত পদক্ষেপগুলো কার্যকর না করলে কিংবা নানা ইস্যুর মুখে মানুষের দৃষ্টি অন্যদিকে সরে গেলে বিপদ আরো বাড়বে। বরং উপযুক্ত মাত্রায় স্বাভাবিকতা ফিরে আসার পথ আরো দুরূহ হয়ে উঠবে। সরকারের হাতে এখনো সময় আছে সামনের ঝুঁকিপূর্ণ দুই-তিন সপ্তাহ পরিস্থিতি ভালোভাবে মোকাবেলায় অবস্থান নেওয়ার।

অধ্যাপক ডা. নাসিমা সুলতানা বলেন, ‘জনসচেতনতায় প্রচারে কোনো ঘাটতি থাকছে বলে মনে হয় না। আবার মানুষ পরীক্ষার জন্যও আসছে না। বেশির ভাগ বুথ বা হাসপাতালে ভিড় নেই। বেসরকারি হাসপাতালগুলোতেও মানুষ যাচ্ছে না; যদি যেত তবে সেই পরিসংখ্যান পাওয়া যেত।

Sponsored
Leave a Comment

সর্বশেষ

প্রধানমন্ত্রীকে পুতিনের অভিনন্দন

পুনরায় নির্বাচিত হওয়ায় বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে অভিন্দন জানিয়েছেন রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন। বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রীর…

January 12, 2024

আওয়ামী লীগের বিজয় উৎসব উদযাপন করলো রিয়াদ মহানগর বঙ্গবন্ধু ফাউন্ডেশন

রিয়াদ প্রতিনিধি- ১০জানুয়ারী বুধবার স্হানীয় সময় রাত সাড়ে ১০ঘটিকায় হোটেল ডি-প্যালেসে রিয়াদ মহানগর বঙ্গবন্ধু ফাউন্ডেশন,…

January 10, 2024

পর্যবেক্ষণে গিয়ে সন্তুষ্ট যুক্তরাষ্ট্র, জার্মানি, আয়ারল্যান্ড ও সুইস পর্যবেক্ষকরা

দ্বাদশ সংসদ নির্বাচনে নারায়ণগঞ্জ-১ (রূপগঞ্জ) আসনের কয়েকটি ভোট কেন্দ্র পরিদর্শন করেছেন যুক্তরাষ্ট্র, জার্মানি ও আয়ারল্যান্ডের…

January 7, 2024

ভিডিও কনফারেন্সে মিটিং করে ট্রেনে আগুন দেয়ার সিদ্ধান্ত নেয় বিএনপি নেতারা

নির্বাচনের আগে দেশে বিশৃঙ্খল পরিস্থিতি সৃষ্টি করে বিদেশি সংস্থা, মিডিয়া ও বিভিন্ন দেশের মনোযোগ নেয়ার…

January 6, 2024

এমনটা কেনো করলেন এ. আর রহমান?

হিরো আলম রবীন্দ্র সঙ্গীত গাওয়ার পর সারা দেশে হইচই শুরু হয়ে যায়। এমনকি ওই প্রতিবাদের…

November 12, 2023

ন্যানোমিটার সেমিকন্ডাক্টর বা চীপ তৈরিতে নিজের শক্ত অবস্থান জানান দিচ্ছে চীন

বর্তমানে পশ্চিমা বিশ্বের সাথে সেমিকন্ডাক্টর চিপ নিয়ে বড় ধরনের যুদ্ধ চালিয়ে যাচ্ছে রেড জায়ান্ট চীন।…

September 25, 2023
Sponsored