নাগরিক ঐক্যের আহবায়ক মাহমুদুর রহমান মান্না বলেছেন, অবিলম্বে করোনা পরীক্ষার ফি বাতিল করতে হবে। যদি বাতিল না করেন তাহলে স্বাস্থ্যমন্ত্রীকে বলতে চাই, হয়তো সংসদে বিবৃতি দিয়ে বাঁচতে পারবেন, কিন্তু জনগণ থেকে কিভাবে বাঁচবেন? চিকিৎসকদের থাকা-খাওয়ার নামে অনেক টাকা লুটপাট করেছেন। সব অন্যায়ের বিচার করা হবে। সব মনে রাখছি।
করোনা মোকাবিলায় ব্যর্থ সরকারের পদত্যাগ’ দাবিতে এবং বাস ভাড়া ও ওয়াসার পানির মূল্যবৃদ্ধির প্রতিবাদে আজ জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে নাগরিক ঐক্যের মানববন্ধন কর্মসূচিতে তিনি এ মন্তব্য করেন। মানববন্ধনে অন্যান্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন নাগরিক ঐক্যের কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য শহীদুল্লাহ কায়সার, জিন্নুর চৌধুরী দিপু, সাকিব আনোয়ার প্রমুখ। মানববন্ধনে সংহতি প্রকাশ করে বক্তব্য দেন মুক্তিযোদ্ধা দলের সভাপতি ইশতিয়াক আজিজ উলফাত, সাধারণ সম্পাদক সাদেক আহমেদ খান, গণফোরামের কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য মোস্তাক আহমেদ।
করোনা পরীক্ষার ফি বাতিল করেন। তা যদি না করেন তাহলে ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরীসহ সব চিকিৎসক ও অন্য পেশাজীবীদের নিয়ে বৃহত্তর কর্মসূচি দেবো। আমাদের দাবি মানতে বাধ্য হবেন।
কিন্তু এই দেশের মানুষ আইয়ুবের শোষণ মানে নাই। দেশের বড় বড় স্বৈরাচার, একনায়কতন্ত্রী সরকার মানে নাই। মানুষ ক্ষোভে ফুসছে। যেকোন সময় বিষ্ফোরণ হবে। পাটকল শ্রমিকদের সঙ্গে গত কয়েকদিন ধরে সরকারের নাটক দেখলাম। যিনি নিজে পাটকল বন্ধ করলেন, তিনি নাকি আবার চোখের পানি ফেলছেন। কেউ দেখেছে সেই পানি ফেলতে? এইসব নাটক সিনেমা বাদ দেন।
আইসিটি আইনের সমালোচনা করে মাহমুদুর রহমান মান্না বলেন, মানুষের মুখ বন্ধ করার জন্য আপনারা আইন বানিয়েছেন। বাক স্বাধীনতা হরণ করতে চাইছেন।
আমাদের প্রথম দাবি, দেশের প্রতিটি মানুষের স্বাস্থ্যের নিরাপত্তা, কোনো মানুষ চাইলে করোনা পরীক্ষা করতে পারবে না, তাহলে এমন সরকারের দরকার নাই। যে সরকার গরীব অসহায়দের খাবার দিতে পারে না সেই সরকার ফকির সরকার। যে সরকার করোনা পরীক্ষার জন্য ২০০ টাকা চায়, তাদের মতো গরীব, ফকির ও বেঈমান সরকার দেশে দরকার নাই।
সব রাজনৈতিক দল, পেশাজীবী সংগঠন এবং অন্যান্য সকল বিরোধী শক্তিকে ঐক্যবদ্ধ হয়ে আন্দোলনের হুঁশিয়ারি দিয়ে মান্না বলেন, আজকে এই মানববন্ধন থেকে ঘোষণা করছি, অচিরেই আমরা বৃহত্তর কর্মসূচি দেব। তার আগেই ভাল হয়ে যান। এখন আপনার অনেক পাইক পেয়াদা দেশ ছেড়ে পালাচ্ছে। সেদিন এয়ারপোর্ট পর্যন্ত যাওয়ার সুযোগ পাবেন না।