কাশিমপুর কারাগার থেকে আবু বকর সিদ্দিক নামের এক কয়েদি নিখোঁজ হওয়ার ঘটনায় ছয় কারারক্ষীকে আজ শুক্রবার সাময়িক বরখাস্ত করেছে কারা অধিদপ্তর।
অতিরিক্ত আইজি প্রিজন্স কর্নেল আবরার হোসেনকে প্রধান করে তিন সদস্যর তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। তাঁকে খুঁজে পেতে পুলিশকে জানানো হয়েছে। মাঠে নেমেছে কারা কর্তৃপক্ষ।
আবু বকর সিদ্দিক ২০১১ সালে রাজশাহী কেন্দ্রীয় কারাগার থেকে এসেছিলেন ফাঁসির আসামি হিসেবে। ২০১২ সালের ২৭ জুলাই তাঁর সাজা সংশোধন করে তাঁকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দেওয়া হয়।
বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় লকআপের সময় একজন আসামি কম পাওয়া যায়। পরে চিহ্নিত হয় যে আসামি নেই, তিনি আবু বকর সিদ্দিক। পরে তাঁকে কারাগারে খোঁজাখুঁজি করেও কারাগারের ভেতরে কোথাও পাওয়া যায়নি। শুক্রবার বিকেলে এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত তাঁকে পাওয়া যায়নি। তাঁকে খুঁজে না পাওয়ার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন কাশিমপুর কারাগারের তত্ত্বাবধায়ক জাহানারা বেগম।
২০১৫ সালের ১৩ মে সন্ধ্যায়ও তিনি আত্মগোপন করে সেল এলাকায় সেপটিক ট্যাংকের ভেতরে লুকিয়ে ছিলেন। অনেক খোঁজাখুঁজি শেষে পরদিন তাঁকে একটি ট্যাংকের ভেতর থেকে উদ্ধার করা হয়। কিন্তু এবার তাঁকে আর কোথাও খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে না।
সিদ্দিক জেলের ১৮ ফুট দেয়াল বেয়ে চলে গেছেন বলে ধারণা করছে কারা কর্মকর্তারা। এ ঘটনায় মামলার প্রস্তুতি নেওয়া হচ্ছে। সাতক্ষীরায় তাঁর বাড়িতে লোক গেছে। সংশ্লিষ্ট জেলার পুলিশকেও বিষয়টি অবহিত করা হয়েছে।
কাশিমপুরে নিখোঁজ ওই কয়েদিকে এখনো পাওয়া যায়নি। অতিরিক্ত আইজি প্রিজন্সকে প্রধান করে তিন সদস্যের তদন্ত কমিটি করে দেওয়া হয়েছে। দায়িত্বে অবহেলার কারণে ছয় কারারক্ষীকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে।
বিষয়টি স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়সহ সংশ্লিষ্ট সব দপ্তরে জানানো হয়েছে। পুলিশকেও জানানো হয়েছে। এক প্রশ্নের উত্তরে তিনি বলেন, ‘তদন্ত কমিটির তদন্ত রিপোর্ট পাওয়ার পর ঘটনাটি পরিষ্কার হবে।