প্রকল্পের ধীরগতি নিয়ে অসন্তোষ প্রকাশ করে, দ্রুত এ কাজ এগিয়ে নেয়ার নির্দেশ দিয়েছেন সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের।
তিনি বলেছেন, নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে প্রকল্পের কাজ শেষ করতে হবে। জনদুর্ভোগ সহ্য করা হবে না, কোনো অজুহাত নয়। শীততাপ নিয়ন্ত্রিত কক্ষে বসে না থেকে সরেজমিন প্রকল্প এলাকায় গিয়ে কাজ করুন।
কুমিল্লা সড়ক ও জনপদ অধিদফতরের কুমিল্লা জোনের উন্নয়ন প্রকল্পগুলোর অগ্রগতি পর্যালোচনা সংক্রান্ত ভিডিও কনফারেন্সে তিনি এসব কথা বলেন।
স্বাস্থ্যবিধির বিষয়ে মন্ত্রী বলেন, সবাইকে শতভাগ মাস্ক ব্যবহার বাধ্যতামূলক করতে হবে। যানবাহনে দাঁড়িয়ে যাত্রী নেয়া যাবে না। নিষেধ করার পরও কেন ঢাকা- চট্টগ্রাম মহাসড়কের পাশে ময়লা-আবর্জনা ও পোস্টার ব্যানার থাকবে।
পোস্টর-ব্যানার যারই হোক না কেন তিনি তা সরিয়ে ফেলার নির্দেশ দেন।
ভিডিও কনফারেন্সে অংশ নেন কুমিল্লা জোনের অতিরিক্ত প্রধান প্রকৌশলী শওকত আলী, তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী রানা প্রিয় বড়ুয়া, নোয়াখালীর তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী আবদুর রহিম, কুমিল্লার নির্বাহী প্রকৌশলী ড. মো. আহাদুল্লাহ, নোয়াখালীর নির্বাহী প্রকৌশলী বিনয় কুমার পাল, লক্ষ্মীপুরের নির্বাহী প্রকৌশলী শুভ্রত দত্ত, ফেনীর নির্বাহী প্রকৌশলী আহসান উদ্দিন আহমেদ, ব্রাহ্মণবাড়িয়ার নির্বাহী প্রকৌশলী পঙ্কজ কুমার ভৌমিক, চাঁদপুরের নির্বাহী প্রকৌশলী মনোয়ারুল ইসলাম, কুমিল্লার বিআরটিএ’র সহকারী পরিচালক আবু আশরাফ সিদ্দকী মান্নান।
ঢাকায় সড়ক পরিবহন ও মহাসড়ক বিভাগের সচিব মো. নজরুল ইসলাম, প্রধান প্রকৌশলী কাজী শাহরিয়ার হোসেনসহ মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তারা ভিডিও কনফারেন্সে যুক্ত ছিলেন।
সওজের অতিরিক্ত প্রধান প্রকৌশলী শওকত আলী জানান, জোনে ২৫০০ কি.মি. ও কুমিল্লা জেলায় ১৭৮২ কি.মি. রাস্তা রয়েছে। কুমিল্লায় টমছম ব্রিজ -নোয়াখালী ফোরলেন সড়কের নির্মাণ কাজে চারটি প্যাকেজের মধ্যে লালমাই-লাকসাম প্যাকেজের কাজ সময়মতো শুরু করা যায়নি।
এলাইনমেন্ট পরিবর্তন সিদ্ধান্তহীনতায় কাজের টেন্ডার আহ্বান করতে দেরি হয়েছে। এক মাস আগে কার্যাদেশ দেয়া হয়েছে। আশা করি, যথাসময়ে এই প্যাকেজের কাজ সম্পূর্ণ হবে।
কুমিল্লা-নোয়াখালী ফোরলেন প্রকল্পের কাজ ধীরগতিতে চলছে। এ নিয়ে এ অঞ্চলের যাত্রীরা দুর্ভোগে পড়ছেন।