কুয়েত, কাতার ও বাহরাইনে বিভিন্ন অপরাধে সাজাপ্রাপ্ত ২১৯ বাংলাদেশে আসার পর আদালতের মাধ্যমে তাদের কারাগারে পাঠানো হয়েছে। রাষ্ট্রপক্ষের করা আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে ঢাকা মহানগর হাকিম দেবব্রত বিশ্বাস শনিবার এ আদেশ দেন। রোববার বিষয়টি জানাজানি হয়।
কারাগারে পাঠানো প্রবাসী আসামিদের কয়েকজন হলেন- মামুন, ফয়জুল্লাহ, লিটন, জহিরুল ইসলাম, নুরুল ইসলাম, শহিদুল ইসলাম, জুয়েল, লিটন মির্জা, আফসার উদ্দিন শিমুল, জাকির হোসেন, সগির, আরিফুল ইসলাম, আমির হোসেন, মিজানুর রহমান, আবুল খায়ের, লিয়াকত আলী, আজাদ হোসেন, কামাল, আব্দুল্লাহ আল মামুন, লিটন, রতন ও মারুফ। শনিবার তাদের ফৌজদারি কার্যবিধির ১৫৪ ধারায় গ্রেফতার দেখিয়ে ঢাকা সিএমএম আদালতে হাজির করা হয়। আবেদনে তাদের বিরুদ্ধে সরকারের ভাবমূর্তি নষ্টের অভিযোগ করা হয়।
পুলিশ বলছে, কোয়ারেন্টাইনে থাকা অবস্থায় ‘তারা বিভিন্ন গ্রুপ সৃষ্টি করে সরকারের ভাবমূর্তি নষ্টের ষড়যন্ত্রে লিপ্ত হয়’, যা আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর নজরে আসে। ফলে তাদের ফৌজদারি কার্যবিধির ১৫৪ ধারায় গ্রেফতার দেখিয়ে আদালতে পাঠানো হয়।
কুয়েত, কাতার ও বাহারাইনে বিভিন্ন মেয়াদে সাজা হওয়া এসব বাংলাদেশির সাজাভোগ অবস্থায় করোনাভাইরাসের প্রাদুর্ভাবের কারণে সাজা মওকুফ করে সম্প্রতি তাদের বাংলাদেশে পাঠিয়ে দেওয়া হয়।
বাংলাদেশে আসার পর তাদের রাখা হয় তুরাগে কোয়ারেন্টাইন সেন্টারে।
বিদেশফেরত ২১৯ বাংলাদেশি কুয়েত, কাতার ও বাহরাইনে বিভিন্ন অপকর্মে লিপ্ত থাকায় সে দেশের সরকার তাদের বিভিন্ন মেয়াদে সাজা দেয়। করোনাভাইরাসের কারণে তাদের সাজা মওকুফ করে বাংলাদেশে পাঠিয়ে দেওয়া হয়। দেশে আসার পর তাদের তুরাগ এলাকায় কোয়ারেন্টিনে রাখা হয়। কিন্তু তারা সেখানে থেকে বিভিন্ন গ্রুপে বিভক্ত হয়ে দেশ ও সরকারের ভাবমূর্তি ক্ষুন্ন করার জন্য শলা-পরামর্শ করছিলেন। এ বিষয়গুলো আমাদের নজরে আসে। তাই তাদের ১৫৪ ধারায় আটক রাখার আবেদন করেছি। বিষয়টি তদন্ত করে প্রকৃত রহস্য জানা যাবে। তদন্ত শেষ না হওয়া পর্যন্ত তাদের কারাগারে আটক রাখার আবেদন করছি।