চলমান করোনা সংকটে বেড়েছে গো-খাদ্যের দাম। অথচ সে তুলনায় বাড়েনি গরুর চাহিদা। এ ছাড়া দেশি গরুর খামারির সংখ্যাও বেড়েছে। এবারে রাজশাহীতে কোরবানির জন্য যে সংখ্যক গবাদি পশুর প্রয়োজন হবে এখানকার খামারগুলোতে গরু আছে তার চেয়ে বেশি।
তাদের গরু বিক্রি হবে কিনা। আবার চাহিদার তুলনায় সরবরাহ বেড়ে গেলে ভালো দাম না পাওয়ারও চিন্তা আছে। একদিকে গরুর খাবারের দাম বেড়ে যাওয়া, অন্যদিকে গরুর ভালো দাম পাওয়া-না পাওয়া- দুইয়ে মিলে অনিশ্চয়তায় আছেন খামারিরা। এবারের ঈদবাজারে করোনার প্রভাব পড়বে কিনা, এ চিন্তাও তাদের পিছু ছাড়ছে না। তবে খানিকটা আশার আলো দেখাচ্ছে অনলাইনে বেচাকেনা। এনিয়ে প্রস্তুতি রাখছে জেলা প্রাণিসম্পদ অধিদফতরও। খামারিরা যাতে আর্থিকভাবে ক্ষতির শিকার না হন সেদিক নিয়েও ভাবছেন তারা।
কোরবানির গরুর বাজার নিয়ে তৈরি হয়েছে অনিশ্চয়তা। তাদের অর্ধেক গরু বিক্রি হবে কি না তা নিয়ে শঙ্কা প্রকাশ করেছেন খামারিরা। খামারিরা বলছেন, সবকিছু বন্ধ থাকায় গো-খাদ্যের দামও চড়া হয়েছে। এক মাস আগে এক বস্তা (৩৭ কেজি) গমের ভুসির দাম ছিল এক হাজার ১০০ টাকা। এখন তা বেড়ে হয়েছে এক হাজার ৪০০ টাকা। শুধু গমের ভুসি নয়, সব গো-খাদ্যের দাম গড়ে ২০ থেকে ২৫ শতাংশ বেড়েছে। পরিবহন সংকটে গো-খাদ্যের অভাবও দেখা দিয়েছে। বড় বড় খামারগুলোতে সংকট দেখা দিয়েছে গরু পরিচর্যাকারী শ্রমিকেরও। অনেকে গ্রামের বাড়িতে অঘোষিত লকডাউনে গৃহবন্দী। তাই স্বল্প-পরিসরে লকডাউন শিথিলেও মিলছে না মুক্তি। রাজশাহী নগরীর বিনোদপুর এলাকায় ২০টি গরু নিয়ে সওদাগর অ্যাগ্রোর মালিক আরাফাত রুবেল কোরবানির জন্য খামার প্রস্তুত করেন।
রাজশাহী প্রাণিসম্পদ অধিদফতরের তথ্য মতে, রাজশাহীতে গত বছর কোরবানির জন্য পশু লেগেছিল দুই লাখ ৬০ হাজার। তবে রাজশাহীতে বর্তমানে ১৩ হাজার ৭০০ খামারে কোরবানির জন্য প্রস্তুত হচ্ছে তিন লাখ ৭০ হাজার গরু। এ ছাড়া করোনা সংকটে এবার চাহিদা আরও কমতে পারে। ফলে এ বছর বাড়তি গরু অবিক্রীত থেকে যাওয়ার শঙ্কা করছে অধিদফতরটি। জেলার খামারিরা কোরবানির ৬-৭ মাস আগে থেকেই প্রস্তুতি শুরু করলেও এবার পরিস্থিতি একেবারেই ভিন্ন। কোরবানি ঈদের এক মাস আগেও চলছে ভয়াবহ সংকট। করোনা মহামারীর এ সংকটের কারণে ভেঙে গেছে খামারিদের মন। বেড়ে গেছে গো-খাদ্যের দাম। প্রায় সব খাদ্যের দামই বেড়েছে ২৫-৩০ শতাংশ হারে। এ ছাড়া দাম নিয়ে বেশ বেকায়দায় পড়েছেন তারা
একই অবস্থায় আছেন জেলার গোদাগাড়ীর রিশিকুল এলাকার সাফি অ্যাগ্রো খামারের মালিক সাফিউল আলম। তিনি বলেন, ‘আমাদের কোনো সাহায্য-সহযোগিতা করছে না জেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তারা। খাবারের দামও বাড়ছে। বাজার নিয়ে ভাবাচ্ছে।
কোরবানির গরুর বাজার নিয়ে তৈরি হয়েছে অনিশ্চয়তা। তাদের অর্ধেক গরু বিক্রি হবে কি না তা নিয়ে শঙ্কা প্রকাশ করেছেন খামারিরা। খামারিরা বলছেন, সবকিছু বন্ধ থাকায় গো-খাদ্যের দামও চড়া হয়েছে। এক মাস আগে এক বস্তা (৩৭ কেজি) গমের ভুসির দাম ছিল এক হাজার ১০০ টাকা। এখন তা বেড়ে হয়েছে এক হাজার ৪০০ টাকা। শুধু গমের ভুসি নয়, সব গো-খাদ্যের দাম গড়ে ২০ থেকে ২৫ শতাংশ বেড়েছে। পরিবহন সংকটে গো-খাদ্যের অভাবও দেখা দিয়েছে। বড় বড় খামারগুলোতে সংকট দেখা দিয়েছে গরু পরিচর্যাকারী শ্রমিকেরও। অনেকে গ্রামের বাড়িতে অঘোষিত লকডাউনে গৃহবন্দী। তাই স্বল্প-পরিসরে লকডাউন শিথিলেও মিলছে না মুক্তি। রাজশাহী নগরীর বিনোদপুর এলাকায় ২০টি গরু নিয়ে সওদাগর অ্যাগ্রোর মালিক আরাফাত রুবেল কোরবানির জন্য খামার প্রস্তুত করেন।
জেলায় যে পরিমাণ গরু আছে তাতেই আমাদের চাহিদা পূরণ হয়ে বেচে যাবে। তবে গো-খাদ্যের দাম বৃদ্ধির কারণে আমাদের খামারিদের একটু কম লাভ হবে। আর বাজার নিয়ে সরকার স্বাস্থ্যবিধি মেনে হাট চালু রাখতে নির্দেশ দিয়েছে, সে হিসেবেই হবে। তবে আমরা খামারিদের অনলাইনে বিক্রির পরামর্শ দিচ্ছি। ’