সাবেক কৃষিমন্ত্রী মতিয়া চৌধুরী বলেছেন, বিএনপি জোট সরকার কৃষি ও কৃষকের উন্নয়নে কোন কাজ করেননি। তারা কৃষিকে ধ্বংস করে দিতে চেয়েছিল।
কৃষির বারোটা বাজিয়ে বিএডিসিকেও বিক্রি করে দিতে চেয়েছিল তৎকালীন বিএনপি সরকার। খালেদা জিয়া কৃষকের কথা চিন্তা না করে শুধু সাজগোজ নিয়েই ব্যস্ত ছিলেন। বঙ্গবন্ধুর খুনীদের আশ্রয়-প্রশ্রয় দেয়া কোন সভ্য দেশের সভ্য কাজ হতে পারে না।
বঙ্গবন্ধু হত্যাকাণ্ডে জড়িত খুনীরা যে সকল দেশে আশ্রয় নিয়েছে সেখান থেকে তাদের দেশে ফিরিয়ে এনে বিচারের কাঠগড়ায় দাঁড় করানো হবে।
শিবালয় উপজেলা পরিষদ হল রুমে কৃষক লীগ আয়োজিত কৃষকদের মাঝে বিনামূল্যে সার-সবজি বীজ বিতরণ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
৭৫ সালে বঙ্গবন্ধু হত্যার আগে শেখ হাসিনা ও রেহানা বিদেশ থাকায় ভাগ্যক্রমে সে দিন বেঁচে যান। ’৮১ সালে শেখ হাসিনা দেশে ফিরে এসে আওয়ামী লীগের হাল ধরেন।
প্রধানমন্ত্রী ১৯৯১ সালে বলেছিলেন বাংলার কৃষককে বাঁচাতে হবে। আজ তিনি সেই কথা রক্ষা করেছেন। কৃষকরা আজ ভাল আছে। আমরা খাদ্যে স্বয়ং সম্পূর্ণ হয়েছি, আমাদের উৎপাদিত শস্য বিদেশেও রফতানি হয়। পাশাপাশি কৃষিতে বিজ্ঞানের ছোঁয়াও এই সরকার দিয়েছে।
উপজেলা কৃষক লীগ আহ্বায়ক অসিউর রহমান সিকোর সভাপতিত্বে বিশেষ অতিথি হিসেবে আওয়ামী লীগ সাংগঠনিক সম্পাদক মির্জা আজম এমপি, এ এম নাঈমুর রহমান দুর্জয় এমপি, কৃষক লীগ কেন্দ্রীয় সভাপতি কৃষিবিদ সমীর চন্দ্র, মানিকগঞ্জ জেলা আওয়ামী লীগ সভাপতি এ্যাডভোকেট গোলাম মহীউদ্দীন, শিবালয় উপজেলা আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক এমএ কুদ্দুস প্রমুখ বক্তব্য রাখেন। এ সময় আরও উপস্থিত ছিলেন জেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি আব্দুল মজিদ ফটো, যুগ্ম সম্পাদক বাদরুল ইসলাম খান বাবলু, কাজী এনায়েত হোসেন টিপু, সাংগঠনিক তায়েবুর রহমান টিপু, দফতর সম্পাদক এহতেশামুল হক ভুনু প্রমুখ।
বিএনপি আমলে কৃষকরা ডিএপি সারের নাম শুনেনি। শেখ হাসিনার সরকার সকল প্রকার সার কৃষকদের মাঝে বিনামূল্যে বিতরণ করছেন।
এক ইঞ্চি জায়গা যেন খালি পড়ে না থাকে সে ব্যাপারে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা নির্দেশনা দিয়েছেন। পরে অতিথিরা স্থানীয় কৃষকের মাঝে বিনামূল্যে চার প্রকারের সার-বীজ ও দুই হাজার গাছের চারা বিতরণ করেন।