ডিএনসিসি মেয়র মো. আতিকুল ইসলাম মঙ্গলবার বেলা ১২টায় মিরপুরে এক লক্ষ গাছের চারা রোপন কর্মসূচি উদ্বোধন করেছেন।
গাছের চারাগুলো চলতি মৌসুমে ডিএনসিসির সকল ওয়ার্ডে লাগানো হবে। এ উপলক্ষ্যে মিরপুর সেকশন-১০ এর মুকুল ফৌজ মাঠে এক অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়।
মেয়র বলেন, ঢাকা শহরকে এবং ভবিষ্যৎ প্রজন্মকে বাঁচাতে হলে গাছ লাগানোর বিকল্প নেই। প্রত্যেক পাড়া-মহল্লা, ক্লাব, স্কুল কলেজের আশপাশে যেসব গাছ লাগানো হবে। আমরা প্রত্যেকে ৫টি করে গাছের রক্ষণাবেক্ষণ করলে বিপ্লব ঘটে যাবে।
সবুজায়নের জন্য আমরা একটি প্রকল্প গ্রহণ করেছি। এই প্রকল্পে সবুজায়নের সাথে সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিবর্গ ও সামাজিক সংগঠনসমূহকে অন্তর্ভূক্ত করা হবে। এই কমিটি নির্ধারণ করবে কোথায় কী পরিমান ও কোন কোন গাছ আছে, আর কী পরিমাণ ও কোন কোন গাছ লাগাতে হবে।
ছাদ বাগান করা হলে ১০ শতাংশ হারে হোল্ডিং ট্যাক্স রেয়াত দেওয়া হবে বলে মেয়র জানান।
তবে স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিতার জন্য পরিবেশ মন্ত্রণালয়, কৃষি মন্ত্রণালয়, সিভিল সোসাইটি, নগর পরিকল্পনাবিদ, পরিবেশবাদী সংগঠন এর প্রতিনিধি নিয়ে একটি কমিটি করা হবে।
কমিটির সুপারিশে এই রেয়াত দেওয়া হবে। যেসব বাড়ি বা স্থাপনায় বৃষ্টির পানি হার্ভেস্ট করা হবে তাদেরকেও গৃহকরের একটা অংশ রেয়াত দেওয়ার চিন্তাভাবনা করছি।
মেয়র বলেন, চিরুনি অভিযানের মাধ্যমে যেভাবে ডেঙ্গু প্রতিহত করেছি, একইভাবে রাজস্ব আদায় বাড়ানোর জন্য চিরুনি অভিযান শুরু হবে।
যারা হোল্ডিং ট্যাক্স দেন না তাদেরকে অবশ্যই ট্যাক্সের আওতায় আসতে হবে। তবে কারো ট্যাক্স বাড়ানো হবে না, কেবল ট্যাক্সের পরিধি বাড়ানো হবে।
১ অক্টোবর থেকে ডিএনসিসি এলাকার অবৈধ ঝুলন্ত তার অপসারণের জন্য অভিযান শুরু হবে বলে মেয়র জানান।
আতিকুল ইসলাম বলেন, কালশী খাল থেকে বিপুল পরিমান ডাবের খোসা, পরিত্যক্ত আসবাবপত্র ইত্যাদি পাওয়া যায়। এটা হতে দেওয়া যায় না। ঢাকা শহরকে সুন্দর করে সাজাতে হবে।
এজন্য সকলকে কাজ করতে হবে। অনুষ্ঠান শেষে মেয়র মুকুল ফৌজ মাঠে কয়েকটি গাছের চারা রোপণ করেন।
অনুষ্ঠিত সভায় অন্যান্যের মধ্যে ডিএনসিসির পরিবেশ বিষয়ক স্থায়ী কমিটির সভাপতি ১৪ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর হুমায়ুন রশীদ জনি, ২ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর সাজ্জাদ হোসেন, ১২ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর মুরাদ হোসেন, ৪৬ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর জাহিদুল ইসলাম মোল্লা, ২১ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর মাসুম গণি তাপস, বাংলাদেশ পরিবেশ আন্দোলনের সাধারণ সম্পাদক শরিফ জামাল, নাগরিক ঢাকা নামক সংগঠনের সভাপতি এম নাঈম হোসেন প্রমূখ উপস্থিত ছিলেন। এ ছাড়া কৃষি বিষয়ক গণমাধ্যম ব্যক্তিত্ব শাইখ সিরাজ অনলাইনে অনুষ্ঠানে অংশগ্রহণ করেন।