করোনায় আক্রান্ত হয়ে মারা যাওয়া ছোটভাই ও সহকারী একান্ত সচিব, মুক্তিযোদ্ধা আবদুল হাইয়ের মরদেহ নিয়ে রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ রবিবার গ্রামের বাড়ি কিশোরগঞ্জের মিঠামইন উপজেলার কামালপুর যাচ্ছেন। সেখানে বিকেল তিনটায় জানাজা শেষে রাষ্ট্রীয় মর্যাদায় তাঁকে পারিবারিক কবরস্থানে বাবা-মায়ের কবরের পাশে দাফন করা হবে।
রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ রবিবার দুপুর ২টা থেকে আড়াইটার মধ্যে হেলিকপ্টার যোগে ছোট ভাইয়ের মরদেহের সাথে জন্মস্থান মিঠামইন উপজেলার কামালপুর গ্রামে নিজ বাড়িতে পৌঁছাবেন। পরে তিনি তাঁর ছোট ভাইয়ের জানাজা, দাফন ও দোয়ায় অংশ নেবেন। সন্ধ্যার আগেই তাঁর বঙ্গভবনে ফিরে আসার কথা রয়েছে।
আজ শুক্রবার কিশোরগঞ্জের জেলা প্রশাসক মো. সারওয়ার মুর্শেদ চৌধুরী ও পুলিশ সুপার মাশরুকুর রহমান খালেদ এসব তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
রাষ্ট্রপতির ছোট ভাই ও সহকারী একান্ত সচিব মুক্তিযোদ্ধা মো. আব্দুল হাই (৬৭)-এর মৃতুর খবর প্রচারের পর জেলার সর্বত্র বিশেষ করে মিঠামইনে শোকের ছায়া নেমে এসেছে। তিনি এলাকায় সৎ, বিনয়ী, সদাচারী ও সাদা মনের মানুষ হিসেবে পরিচিত ছিলেন। মৃত্যুকালে তিনি স্ত্রী, প্রকৌশলী ছেলে, দুই চিকিৎসক মেয়েসহ অসংখ্য গুণগ্রাহী রেখে গেছেন।
মুক্তিযোদ্ধা আবদুল হাই কিশোরগঞ্জের মিঠামইন উপজেলার বীর মুক্তিযোদ্ধা আবদুল হক সরকারী কলেজের সাবেক সহকারী অধ্যাপক। তিনি পরিবার-পরিজন নিয়ে ঢাকায় বসবাস করছিলেন। তার শরীরে করোনার উপসর্গ দেখা দিলে গত ২ জুলাই নমুনা পরীক্ষা করা হয়। এতে তার করোনা পজিটিভ আসে। অবস্থার অবনতি হলে তাকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। আবদুল হাইয়ের ছেলে সাইফ মো. ফারাবিও কিছুদিন আগে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছিলেন। তবে তিনি সুস্থ হয়ে উঠেন।
বৃহস্পতিবার দিবাগত রাত রাত ১.১৫টায় রাজধানীর সম্মিলিত সামরিক হাসপাতালে (সিএমএইচ) তিনি মৃত্যুবরণ করেন। পারিবারিক সূত্রে জানা গেছে, করোনায় আক্রান্ত হওয়ার পর ৫ জুলাই আবদুল হাইকে রাজধানীর সিএমএইচের আইসোলেশন ইউনিটে ভর্তি করা হয়। পরে শারীরিক অবস্থার অবনতি হওয়ায় আইসিইউতে নেওয়া হয়। তাকে প্লাজমা থেরাপিসহ নিবিড় চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছিল। কিন্তু চিকিৎসকদের সব চেষ্টা ব্যর্থ করে দিয়ে বৃহস্পতিবার গভীর রাতে তার মৃত্যু হয়।