জি কে শামীম ও তাঁর সাত অস্ত্রধারী দেহরক্ষীর বিরুদ্ধে দায়ের করা মানি লন্ডারিং মামলায় আদালতে অভিযোগপত্র দিয়েছে সিআইডি। ওই অভিযোগপত্রে বিভিন্ন ব্যাংকে জি কে শামিমের ১৮০টি ব্যাংক হিসাবে প্রায় ৩৩৭ কোটি টাকার স্থায়ী আমানতের তথ্য রয়েছে।
ঢাকায় তাঁর দুটি বাড়িসহ প্রায় ৫২ কাঠা জমি রয়েছে। এসব জমির দাম ৪১ কোটি টাকা। জি কে শামীম তাঁর অস্ত্রধারী সাত দেহরক্ষীকে দিয়ে মানুষকে ভয়ভীতি দেখিয়ে টেন্ডারবাজি, বাস টার্মিনাল ও গরুর হাটে চাঁদাবাজি করে এসব সম্পদ অর্জন করেন।জি কে শামীম হাসপাতালে শুয়ে-বসে সময় কাটাচ্ছেন। দুই মাস ধরে তিনি বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয় হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। তাঁকে ফেরত নিতে গত সপ্তাহেও কারাগার থেকে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের কাছে চিঠি পাঠানো হয়েছে।
হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ ছাড়পত্র না দেওয়ায় তাঁকে ফেরত নেওয়া যায়নি বলে এক কারা কর্মকর্তা নিশ্চিত করেছেন।
২০০৯ থেকে ২০১৯ সাল পর্যন্ত দেশের ১৮০টি ব্যাংক হিসাবের মাধ্যমে ছয় হাজার ৫৮ কোটি ৪৯ লাখ ৫১ হাজার ৮৪২ টাকা লেনদেন করেন। এর মধ্যে ২০১৮ ও ২০১৯ সালে সর্বাধিক লেনদেন হয়।
তাঁর ব্যাংক লেনদেনে সর্বমোট ক্রেডিট হয়েছে তিন হাজার ৪২ কোটি ৮৩ লাখ ৪৮ হাজার ৯১ টাকা। আর ডেবিট হয়েছে তিন হাজার ১৫ কোটি ৬৬ লাখ তিন হাজার ৭৫১ টাকা। জি কে শামীম তাঁর চাঁদাবাজি ও দুর্নীতির টাকা বিদেশে পাচারের পরিকল্পনা করেছিলেন বলে চার্জশিটে উল্লেখ করা হয়েছে।
জি কে শামীমের ডান হাতে একটি ক্ষতের স্থানে প্লেট বসানো আছে। সেখানে ব্যথার কারণে তাঁকে বিএসএমএমইউর অর্থোপেডিক বিভাগে স্থানান্তর করা হয়।দুই মাস আগে অসুস্থ হলে তাঁকে কারাগার থেকে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয় হাসপাতালের প্রিজন সেলে নিয়ে যাওয়া হয়। সাধারণ সেলেই তাঁর চিকিৎসা চলছে। জানা গেছে, উচ্চপর্যায়ের তদবিরে তাঁকে কারাগার থেকে হাসপাতালে পাঠানো হয়।
জি কে শামীমকে ফেরত আনতে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের কাছে চিঠি পাঠানো হয়েছে। হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ ছাড়পত্র দিলে তাঁকে কারাগারে ফেরত আনা হবে।