কুড়িগ্রাম পৌরসভার ভেলাকোপা এলাকার পানিবন্দি মানুষের চলাচলের নিত্যসঙ্গী এখন কলাগাছের ভেলা। নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিসপত্র আনা নেওয়া ছাড়াও পাশের বাড়িতে যেতেও তাদের ভেলার ওপর নির্ভর করতে হয়।
নদ-নদীর পানি কমতে থাকায় বন্যা পরিস্থতির উন্নতি হলেও উজানে ভারি বর্ষণের আভাস থাকায় পাহাড়ি ঢলে বন্যা পরিস্থিতির অবনতির শঙ্কা রয়েছে।
মধ্য জুলাইয়ে বন্যা পরিস্থিতির অবনতি হতে পারে বলে বুধবার পানি উন্নয়ন বোর্ডের বন্যা পূর্বাভাস ও সতর্কীকরণ কেন্দ্রের নির্বাহী প্রকৌশলী মো. আরিফুজ্জামান ভূঁইয়া জানিয়েছেন।
১০১টি পর্যবেক্ষণ পয়েন্টের মধ্যে বুধবার ২৮টি পয়েন্টেই পানি বেড়েছে। এর মধ্যে বিপদসীমার উপরে বয়ে যাচ্ছে ৬টি পয়েছে।৭১টি স্টেশনে পানি কমেছে; ২টি পয়েন্টে অপরিবর্তিত রয়েছে।
আগামী ২৪ ঘণ্টায় সিরাজগঞ্জ, নাটোর, টাঙ্গাইল, নওগাঁও ও রাজবাড়ীর বন্যা পরিস্থিতির উন্নতি হতে পারে। তবে ৭২ ঘণ্টায় দেশের উত্তরাঞ্চল, উত্তর-পূর্বাঞ্চল ও তৎসংলগ্ন হিমালয় পাদদেশীয় পশ্চিমবঙ্গ ও আশপাশের প্রদেশে ভারি থেকে অতি ভারি বর্ষণের পূর্বাভাস রয়েছে। এ সময়ে বহ্মপুত্র-যমুনা, উত্তরাঞ্চল, উত্তর পূর্বাঞ্চল ও মেঘনা অববাহিকার নদ-নদীতে পানি দ্রুত বাড়তে পারে
বহ্মপুত্র-যমুনার পানি ১০ জুলাইয়ের পর পুনরায় বাড়তে পারে। ১৩ জুলাই নাগাদ কুড়িগ্রাম, গাইবান্ধা, জামালপুর ও সিরাজগঞ্জ জেলার বিভিন্ন পয়েন্টে পানি বিপদসীমার উপরে প্রবাহিত হতে পারে।
গঙ্গা-পদ্মার পানি বাড়তে পারে। তিন দিন রাজবাড়ী, মুন্সিগঞ্জ ও শরীয়তপুরের বন্যা পরিস্থিতি স্থিতিশীল থাকতে পারে। জুলাইয়ের মাঝামাঝি এসব জেলার বন্যা পরিস্থিতি অবনতি হতে পারে।”