বর্তমানে দেশে পেঁয়াজের দাম বেড়েই চলেছে। প্রতি কেজি পেঁয়াজ এখন ২৫০-২৭০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। একদিকে পেঁয়াজের দাম আকাশচুম্বী হলেও অন্যদিকে বেশ কিছু পেঁয়াজ পঁচে নষ্টও হচ্ছে।
চট্টগ্রামের পাইকারি বাজার খাতুনগঞ্জ থেকে প্রায় ১৫ টন পচা পেঁয়াজ ফেলে দেওয়া হয়েছে চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের ভাগাড়ে।
সম্প্রতি এসব ঘটনার ছবি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ার পর নগরবাসীর মাঝে ব্যাপক প্রতিক্রিয়া দেখা গেছে। তারা বলছেন, দাম বাড়াতে অতি মুনাফার লোভে গুদামজাত করা পেঁয়াজ এখন পচে নষ্ট হচ্ছে।
মুনাফার লোভে ন্যায্য মূল্যে বিক্রি না করে, সেই পচা পেঁয়াজ এখন ফেলা হচ্ছে ভাগাড়ে-নদীতে। ভোক্তারা বলছেন এক কথায়, অতি লোভে তাঁতি নষ্ট।
এদিকে খাতুনগঞ্জ পাইকারি বাজারের পাশেই চাক্তাই খাল। গতকাল শুক্রবার রাতে বাজারে গিয়ে দেখা যায়, খালের কিছুটা দূরে রাতের অন্ধকারে বস্তা পচা পেঁয়াজগুলো কে বা কারা ফেলে গেছে।
পেঁয়াজগুলো আকারে ছোট। ফেলে যাওয়া পচা পেঁয়াজের বস্তা থেকে নিম্ন আয়ের মানুষরা খাওয়ার উপযোগী পেঁয়াজ বেছে নিচ্ছেন।
এ ব্যাপারে কেউ কেউ বলছেন দাম বাড়াতে অতি মুনাফার লোভে গুদামজাত করায় পঁচে নষ্ট হচ্ছে অনেক পেঁয়াজ।
তবে ব্যবসায়ীদের দাবি মিয়ানমার থেকে আমদানি করা পেঁয়াজ পঁচা হওয়ায় তারা সেগুলো ফেলে দিচ্ছেন। এজন্য তাদের বিশাল লোকসান হচ্ছে।
এ সময় ব্যবসায়ী আলতাফ মাহামুদ জানান, পেঁয়াজগুলো মিয়ানমার থেকে আমদানি করা। এসব পেঁয়াজ যখন খাতুনগঞ্জে ঢুকছিল, তখন কিছুটা পচা ছিল। আর আড়তে মজুদ করে রাখার ফলে একেবারে পচে গেছে। তবে তিনি পচা পেঁয়াজের আড়তদারের নাম-ঠিকানা কিছুই বলতে পারেননি।
এ সময় এক চাল ব্যবসায়ী আবুল হাসেম বলেন, পেঁয়াজ পচলে ব্যবসায়ীদের কোনো অসুবিধা নেই। কারণ যে পরিমাণ পেঁয়াজ পচবে তার ক্ষতি পোষাতে ভালো পেঁয়াজের দাম বাড়াতে থাকবে তারা।
এখন প্রতিদিন পচা পেঁয়াজ আড়ত থেকে বের হচ্ছে। প্রশাসনের উচিত এসব আড়তদারকে খোঁজে বের করা।
এ ব্যাপারে চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের পরিচ্ছন্নতা পরিদর্শক আহমদ ছফা বলেন, ‘ওয়ার্ড কাউন্সিলরের কাছ থেকে খবর পেয়ে চারটা গাড়িতে করে সেগুলো আরেফিন নগর নিয়ে ফেলে আসি। পচা পেঁয়াজ প্রায় ১৫-১৬টন হবে।’