করোনা মহামারির মধ্যেই পরিবার-পরিজনের সঙ্গে ঈদ উদযাপনের জন্য ছুটেছিলো গ্রামমুখি মানুষের স্রোত, এবার ঈদ ও করোনার সাধারণ ছুটি শেষে ঢাকামুখি মানুষের স্রোত শুরু হয়েছে।করোনা ভাইরাস আক্রান্তের ঝুঁকি মাথায় নিয়েই গ্রামে ও রাজধানীতে যাওয়া-আসার পর্ব চলছে।
দেশের সবগুলো মহাসড়কে এখন রাজধানীমুখী মানুষের চাপ দেখা যাচ্ছে। ফেরিঘাটে সকাল থেকে ভিড় বেড়েছে ব্যক্তিগত যানের। সাধারণ ছুটি তুলে নেওয়ার পরপরই রাজধানীতে ফেরার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন বহু মানুষ।
বৃহস্পতিবার সকাল থেকে রাজধানীর প্রবেশপথ গাবতলী, আব্দুল্লাহপুর সায়েদাবাদ, মাওয়া ঘাটে দেখা যায় রাজধানী ফেরত মানুষদের ভিড় বেড়েই চলছে। তবে এখনও কোনও বাস রাজধানীতে ঢোকেনি। ঘাটগুলোতে মোটরসাইকেল, ইজিবাইকসহ ব্যাটারিচালিত যানে এসে ভিড় করছেন রাজধানমুখী মানুষ।
বাস ছাড়া বাকি সব ধরণের যানবাহনে মানুষ ঢুকছেন রাজধানীতে। আগের মত পুলিশের চেকপোস্টে কড়াকড়ি নেই। বেশিরভাগ ফিরছেন ব্যক্তিগত গাড়ি, ট্রাক, পিকআপ ও মোটরসাইকেলে করেই। যাদের ব্যক্তিগত গাড়ি নেই তারা ফিরেছে ভাড়া করা বিভিন্ন গাড়িতে। বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই এসব গাড়িতে স্বাস্থ্য নির্দেশনা মানা হয়নি। একেকটি প্রাইভেটকারে ৫ জনের জায়গায় ৭ থেকে ৮ জন চেপে বসে আসছেন।
বিডব্লিউটিএ সূত্র জানান, ৭টি ফেরি চলাচল করছে দৌলতদিয়া পাটুরিয়া ঘাটে। প্রচুর সাধারণ মানুষ ব্যাটারিচালিত যানবাহনে ঘাটে এসে ভিড় করছেন। যদি ভিড় আর বাড়ে সেক্ষেত্রে ফেরি সংখ্যাও বাড়ানোর প্রস্তুতি নিয়েছে বিআইডব্লিউটিএ।
দক্ষিণাঞ্চলের আরেকটি প্রবেশদ্বার মাওয়া ঘাটে দেখা গেছে, ঢাকামুখী প্রাইভেট গাড়ির সারি। ঘাটের পুলিশ ফাঁড়ি ইনচার্জ সাখাওয়াত জানান, গণপরিবহন বন্ধ থাকলেও ঈদুল ফিতরের ছুটিতে ব্যক্তিগত গাড়ি নিয়ে গ্রামের বাড়ি যারা গিয়েছিলেন তাদের এখন বেশি দেখা যাচ্ছে।
উল্লেখ্য, করোনা ভাইরাসের কারণে টানা ৬৬ দিনের সাধারণ ছুটি শেষে শর্তসাপেক্ষে প্লেন ও গণপরিবহন চালুর অনুমতি দিয়েছে সরকার। ৩১ মে থেকে আগামী ১৫ জুন পর্যন্ত চলাচল সীমিত করে বৃহস্পতিবার প্রজ্ঞাপন জারি করে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ বেশকিছু বিধিনিষেধ আরোপ করেছে। প্রজ্ঞাপনে বলা হয়েছে, নিষেধাজ্ঞাকালে কেউ কর্মস্থল ত্যাগ করতে পারবেন না।