টানা ১৪ দিনের কঠোর লকডাউনে সব ধরনের গণপরিবহন বন্ধ ছিল। পবিত্র ঈদুল আজহা বা কোরবানির ঈদ উপলক্ষে আজ বৃহস্পতিবার থেকে ৮ দিনের জন্য লকডাউন বা বিধি-নিষেধ শিথিল করা হয়েছে। সেই হিসেবে শুরু হয়েছে সবধরনের গণপরিবহন চলাচল। এতে করে আগের রূপে ফিরেছে ঢাকা-টাঙ্গাইল-বঙ্গবন্ধু সেতু মহাসড়ক।
বৃহস্পতিবার সকাল থেকেই গাড়ির চাপ বৃদ্ধি পাওয়ায় করটিয়া থেকে সেতু পূর্ব পর্যন্ত প্রায় ৪০ কিলোমিটার এলাকাজুড়ে থেমে থেমে যানজটের সৃষ্টি হয়েছে। এতে করে চালক ও ঘরমুখো যাত্রীদের চরম ভোগান্তি পোহাতে হচ্ছে। উত্তরবঙ্গ-মুখী যানবাহনের চাপ রয়েছে বেশি। অনেক মানুষ সেই আগের মতোই ট্রাকে গাদাগাদি করে বাড়ি ফিরছেন।
এ সড়কের করটিয়া থেকে এলেঙ্গা পর্যন্ত যানজটের সৃষ্টি হয়েছে। ফলে চরম দুর্ভোগে পড়েছেন তারা। ঘণ্টার পর ঘণ্টা কেটে যাচ্ছে সড়কেই।
যানবাহনের চালকরা জানান, মহাসড়কের করটিয়া থেকে উত্তরবঙ্গমুখী যানজটের সৃষ্টি হয়েছে। মাঝে-মধ্যেই আবার যানজট ছেড়ে যাচ্ছে। আবার কোথাও কোথাও ধীরগতির সৃষ্টি হচ্ছে। গণপরিবহন চালু হওয়ায় সড়কে যাত্রীদের যাতায়াত বেড়েছে। এ ছাড়া সড়কে গরুবাহী ট্রাক রয়েছে প্রচুর।
এ বিষয়ে এলেঙ্গা হাইওয়ে পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ ইয়াসির আরাফাত জানান, সড়কে যানবাহনের প্রচুর চাপ রয়েছে। অনেক স্থানে ধীরগতিতে চলাচল করছে গাড়ি। মাঝে মাঝে আটকেও যাচ্ছে। যানজট যাতে না হয় এ জন্য পুলিশের পক্ষ থেকে সর্বাত্মক চেষ্টা চালানো হচ্ছে।হাটিকুমরুল হাইওয়ে থানার ওসি মো. শাহজাহান আলী বলেন, তিনটি রুট অর্থাৎ রাজশাহী, পাবনা ও বগুড়ার দিককার গাড়ি বঙ্গবন্ধু সেতু পশ্চিম মহাসড়কে প্রবেশ করে।
এর ফলে এই মহাসড়কটিতে প্রায় সব সময়ই যানবাহনের চাপ থাকে। এ কারণেই মহাসড়কের এই ৪০ কিলোমিটার এলাকায় যানজট রয়েছে।