দুর্নীতি-অনিয়মের বিরুদ্ধে সরকারের অবস্থান অত্যন্ত কঠোর বলে জানিয়ে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের বলেছেন, ‘সরকারি দলে সবসময় কিছু আগাছা-পরগাছা ঢুকে পড়ে, কিন্তু সরকার এ ব্যাপারে অত্যন্ত সচেতন। দলে এসে দলের নাম ভাঙিয়ে অনিয়মের আশ্রয় নিয়ে ভাগ্য বদলাতে আওয়ামী লীগ কখনও কাউকে সুযোগ দেয়নি। যারা দলের নাম ভাঙিয়ে অপকর্ম করে তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে সরকার কার্পণ্য করে না।
দলের দুঃসময়ের নেতাকর্মী, নির্যাতিত নেতাকর্মীদের এই সংগঠনে লোভী ও ষড়যন্ত্রকারীদের আর সুযোগ নেই। যারা দলের ভাবমূর্তি নষ্ট করবে তাদের সর্তক করে দিচ্ছি এমন অপকর্ম আওয়ামী লীগ মেনে নেবে না। দুর্বত্তদের কোনো দল নেই, তাদের নেই দলীয় পরিচয়। অপরাধীর অপরাধকেই বিবেচনা করে শেখ হাসিনা সরকার।’
শেখ হাসিনা সরকার স্বপ্রণোদিত হয়ে দুর্নীতি উৎঘাটন করে আইনগত ব্যবস্থা নিচ্ছে। ক্যাসিনোবিরোধী অভিযান থেকে শুরু করে ত্রাণ কাজে অনিয়মসহ এবং স্বাস্থ্য খাতের অনিয়মের বিরুদ্ধে চলমান কার্যক্রম শুদ্ধি অভিযানের অংশ। অন্যান্য খাত বিশেষ করে যেখানে অনিয়ম দুর্নীতি সেখানেই কঠোর অবস্থানে সরকার।’
বিএনপি সরকারে থেকে দুর্নীতি-সাম্প্রদায়িকতাসহ নানা অনিয়মকে প্রাতিষ্ঠানিক রূপ দিয়েছিল জানিয়ে ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘বঙ্গবন্ধুর খুনিকে তারা নানাভাবে আশ্রয়-প্রশ্রয় এবং পুনবার্সিত করেছিল। তাই তাদের মুখে অনিয়মের কথা বলা মানায় না। আমরা এখন জনগণকে বাঁচানোর লক্ষ্যে সর্বাত্মক কাজ করে যাচ্ছি। আর বিএনপি অসহায় জনগণের পাশে না থেকে সমালোচনার নামে সরকারের বিরুদ্ধে বিষোদগার করছে। দেশের মানুষ এখন আর দোষারোপের রাজনীতি পছন্দ করে না।
সোমবার (১৩ জুলাই) নিজের সরকারি বাসভবনে সমসাময়িক ইস্যু নিয়ে ব্রিফিংকালে তিনি এসব কথা বলেন।
এখন রাজনীতি হবে মানুষকে বাঁচানোর বৈশ্বিক সংকট করোনা প্রতিরোধ করা। বিএনপিকে ধ্বংস করার জন্য তারা নিজেরাই যথেষ্ট।’ দুর্নীতিগ্রস্ত নেতৃত্ব, মিথ্যাচার আর নেতিবাচক রাজনীতি বিএনপিকে জনগণের কাছে ক্রমেই অপ্রাসঙ্গিক করে তুলছে বলেও মন্তব্য করেন তিনি।