মুহাম্মদ ইউসুফ খাঁন- চট্টগ্রাম।। বহু প্রতিক্ষার অবসাণ ঘটিয়ে শেষতকঃ সুদীর্ঘ ৭ বছর পর অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে চট্টগ্রাম উত্তর জেলা আওয়ামী লীগের ত্রি-বার্ষিক সম্মেলন ২০১৯।
এবার সমঝোতার ভিত্তিতে নেতৃত্ব নির্বাচিত হবে বলে দলীয় একটি সূত্রে আভাস পাওয়া যাচ্ছে। দলের হাইকমান্ড সুত্র জানায়, দলে এবার নতুন প্রজন্মের তরুণদের গুরুত্বপূর্ণ পদে আনা হতে পারে।
আসছে ৭ই ডিসেম্বর বন্দর নগরীর ইন্টাঃ কনভেনশন সেন্টারে এ সম্মেলনটি অনুষ্ঠিত হবে। এতে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থাকবেন বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক সড়ক ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের এমপি উদ্বোধক সাবেক মন্ত্রী ও আওয়ামীলীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য ইঞ্জিনিয়ার মোশারফ হোসেন এমপি।
চট্টগ্রাম উত্তর জেলা আওয়ামী লীগের শেষ সম্মেলন হয়েছিল গত ২০১২ সালের ২৫ ডিসেম্বর।
এবার সভাপতি প্রার্থী দু’জন হলেও সম্মেলনে চমক থাকছে নেতৃত্ব নিয়ে। একজন বর্তমান ভারপ্রাপ্ত সভাপতি ও রাউজানের সংসদ সদস্য এবিএম ফজলে করিম চৌধুরী ও অন্যজন সাধারণ সম্পাদক ও জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান এম এ ছালাম।
নেতাকর্মীদের কৌতূহল সভাপতি প্রার্থী নিয়ে। সভাপতি পদে প্রার্থী আছেন দু’জন। কিন্তু এ দু’জনের মধ্যে কে হবেন উত্তর জেলা আওয়ামী লীগের কাণ্ডারী বা অভিভাবক ?
অনেকেই মনে করছেন ছালামকেই দেওয়া হতে পারে সভাপতির দায়িত্ব। উত্তর জেলা আওয়ামী লীগের সর্বশেষ সম্মেলন হয়েছিল ২০১২ সালের ২৫ ডিসেম্বর। ওই সম্মেলনে ইঞ্জিনিয়ার মোশাররফ হোসেনকে সভাপতি ও এম এ ছালামকে সাধারণ সম্পাদক নির্বাচিত করা হয়েছিল।
সাবেক মন্ত্রী ইঞ্জিনিয়ার মোশাররফ হোসেন এমপি ২০১৩ সালে আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য নির্বাচিত হওয়ার পর তিনি সভাপতির পদটি ছেড়ে দিয়েছিলেন।
এরপর কেন্দ্র থেকে উত্তর জেলার সভাপতি মনোনীত করা হয় সংগঠনের তিন নম্বর সহ-সভাপতি সাবেক সংসদ সদস্য নুরুল আলম চৌধুরীকে।
গত ২৭ জানুয়ারি তিনি মারা গেলে আওয়ামী লীগের কেন্দ্র থেকে এ শূন্য পদে ভারপ্রাপ্ত সভাপতি হ’ন সাংসদ এবিএম ফজলে করিম চৌধুরী এমপি। তিনি ছিলেন দ্বিতীয় সহ-সভাপতি।
দলীয় সূত্রে জানা গেছে যে, ইঞ্জিনিয়ার মোশাররফ হোসেন এমপি এখন কেন্দ্রে দায়িত্ব পালন করলেও উত্তর জেলা আওয়ামী লীগে তাঁর প্রচ্ছন্ন প্রভাব রয়েছে।
সম্মেলনে সভাপতি পদে দুই প্রার্থী-ফজলে করিম চৌধুরী ও এম এ ছালাম দু’জনই তাঁর ঘনিষ্ঠজন।
আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য ইঞ্জিনিয়ার মোশাররফ হোসেন এমপির কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘দু’জনের মধ্যে সমঝোতা হতে পারে, না হয় সম্মেলনের দ্বিতীয় অধিবেশনে ভোটাভুটিতে নেতৃত্ব নির্বাচিত হবে।
বিগত সময়ে জেলা আওয়ামী লীগের সম্মেলনের দ্বিতীয় অধিবেশনে কাউন্সিলররা ভোট দিয়ে নেতৃত্ব নির্বাচিত করেছেন।এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘সম্মেলনে কেন্দ্রীয় নেতৃবৃন্দ সিদ্ধান্
ত দেবেন কোন প্রক্রিয়ায় নেতৃত্ব নির্বাচিত হবে। তবে যে প্রক্রিয়ায় হোক না কেন সম্মেলনের দ্বিতীয় অধিবেশনেই নেতৃত্ব নির্বাচিত হবে।’
ত দেবেন কোন প্রক্রিয়ায় নেতৃত্ব নির্বাচিত হবে। তবে যে প্রক্রিয়ায় হোক না কেন সম্মেলনের দ্বিতীয় অধিবেশনেই নেতৃত্ব নির্বাচিত হবে।’
এ ব্যাপারে এবিএম ফজলে করিম চৌধুরী এমপি বলেন, ভারপ্রাপ্ত সভাপতি হিসেবে দায়িত্ব পালন করে সংগঠনের জন্য আমি কি কাজ করেছি তা নেতাকর্মীরাই মূল্যায়ন করবেন।
সম্মেলনে কাউন্সিলররা যে সিদ্ধান্ত নেবেন তা মেনে নেবো।এম এ ছালাম বলেন, ‘২০১২ সালে অনুষ্ঠিত সম্মেলনে আমি প্রার্থী ছিলাম না। কাউন্সিলররাই আমাকে সাধারণ সম্পাদক নির্বাচিত করেছিলেন। এই সম্মেলনেও আমি নিজেকে প্রার্থী ঘোষণা করিনি,নেতাকর্মীরাই বলাবলি করছে।
এবারও কাউন্সিলররাই নির্ধারণ করবেন বলে আমি বিশ্বাস করি।
এবার সম্মেলনে সাধারণ সম্পাদক পদে ছয় প্রার্থীর নাম শোনা যাচ্ছে।মিরশ্বরাই উপজেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সভাপতি শেখ আতাউর রহমান এবং মিরসরাই উপজেলার সাবেক চেয়ারম্যান ও চঃউত্তর জেলা আওয়ামীলীগের প্রবীণ নেতা আলহাজ্ব মোঃ গিয়াস উদ্দীন, ইউনুস গনি চৌধুরী, জসীম উদ্দীন, এ টি এম পেয়ারুল ইসলাম।।