ত্রাণ প্রতিমন্ত্রী এনামুর রহমান বলেছেন, সমুদ্রে জোয়ারের কারণে দেশের মধ্যাঞ্চলে বন্যার পানি কমতে দেরি হতে পারে। আর জোয়ারে সমস্যা না হলে আগস্টের প্রথম সপ্তাহের মধ্যে দেশের সব জায়গা থেকে বন্যার পানি নেমে যেতে পারে।
আগামী দুই দিনে মানিকগঞ্জ, মুন্সিগঞ্জ, ফরিদপুর, মাদারীপুর, চাঁদপুর, রাজবাড়ী, শরিয়তপুর, ঢাকা, কুড়িগ্রাম, গাইবান্ধা, নাটোর, বগুড়া, জমালাপুর, সিরাজগঞ্জ, টাঙ্গাইল এবং নওগাঁ জেলার বন্যা পরিস্থিতির আরো অবনতি হতে পারে, তারপর পানি কমতে শুরু করবে।
বন্যা পূর্বাভাস কেন্দ্র থেকে বলা হয়েছে, ব্রহ্মপুত্র নদের পানি বাড়ছে, এটা কিছুদিন অব্যাহত থাকতে পারে। গঙ্গা ও পদ্মার পানি বাড়তে পারে। উত্তর-পূর্বাঞ্চলের নদীর পানি কমছে। ঢাকা জেলার আশপাশের নদীর পানি আগামী ৪৮ ঘণ্টা পর্যন্ত বাড়তে পারে।
২৪ ঘণ্টায় সুনামগঞ্জ জেলায় বন্য পরিস্থিতির উন্নতি হতে পারে। অন্যান্য জেলায় ২৭ জুলাই পর্যন্ত পানি বাড়ার পর আস্তে আস্তে কমতে শুরু করবে। বন্যায় ত্রাণ সহায়তা তদারকি করতে ছয়টি কমিটি করা হয়েছে। তারা উপজেলা, ইউনিয়ন ও ওয়ার্ড পর্যায়ে ত্রাণ কার্যক্রমের দেখভাল করবে। আগামী ২১ দিন কমিটিগুলো এ দায়িত্ব পালন করবে। এরা মাঠ পর্যায়ের যে কোনও সমস্যা সমাধান করবেন এবং যে কোনও চাহিদা পূরণে আমাদের জানাবেন, আমরা সে অনুযায়ী বরাদ্দ দেব। ত্রাণের কোথাও কোনও সঙ্কট নেই।
বন্যার্তদের জন্য গত ২৮ জুন থেকে ত্রাণ বরাদ্দ দেওয়া হচ্ছে। এখন পর্যন্ত তিন কোটি ৩৬ লাখ ৫০ হাজার নগদ টাকা, ৫২ হাজার ১০ মেট্রিকটন চাল, এক লাখ ২১ হাজার শুকনো খাবারের প্যাকেট, গো-খাদ্য কিনতে এক কোটি ৪৮ লাখ টাকা এবং শিশু খাদ্য কিনতে আরও ৭০ লাখ টাকা দেয়া হয়েছে। বেশ কিছু জায়গাতে নদীতে ভেঙে গেছে ঘর বাড়ি, সেগুলো নির্মাণের জন্য ৩০০ বান্ডিল টিন এবং ৯০ লাখ টাকা দেওয়া হয়েছে বলে জানান এনামুর রহমান।
৩৩৩ হেল্পলাইনের সঙ্গে সকল দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা কমিটিকে যুক্ত করে দেয়া হয়েছে। কোথাও কেউ খাবারের কষ্টে থাকলে ৩৩৩ নম্বরে যোগাযোগ করলে সেখানে ত্রাণ সহায়তা পৌঁছে দেওয়ার জন্য নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে বলে জানান তিনি।
শনিবার সচিবালয় থেকে এক ভার্চুয়াল সংবাদ সম্মেলনে ত্রাণপ্রতিমন্ত্রী এসব কথা বলেন।