সরকারের বিভিন্ন প্রণোদনার ফলে দেশের নারী উদ্যেক্তাদের সাফল্য চোখে পড়ার মতো বলে মনে করেন বাণিজ্য মন্ত্রী টিপু মুনশি। বাণিজ্য সফলতায় দেশের নারীরা অনেক এগিয়ে গেছে। সরকার দেশীয় এবং আন্তর্জাতিক বাণিজ্য ক্ষেত্রে প্রয়োজনীয় সহযোগিতা দিয়ে যাচ্ছে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বর্তমান সরকার এ বিপুল নারী জনশক্তিকে উৎপাদনশীল কাজে লাগাতে সবধরনের পদক্ষেপ নিয়েছে। ফলে অনেক নারীরা বাণিজ্য করে সফল হয়েছেন।
আইটিসি নিউইয়র্ক অফিসের সাথে যুক্ত হয়ে বাংলাদেশ সময় গভীর রাতে ইউনাইটেড ন্যাশন এবং ওয়াল্ড ট্রেড অর্গানাইজেশন (ডব্লিউটিও) এর উদ্যোগে আয়োজিত “সি ট্রেড আউট লুক” শীর্ষক ভার্চুয়াল হাই লেভেল পলিটিকাল ফোরাম ডিসকার্শনে অংশ নিয়ে বাণিজ্যমন্ত্রী এসব কথা বলেন।
আন্তর্জাতিক বাণিজ্য মেলায় মহিলা উদ্যোক্তাদের অগ্রাধিকার দেয়া হচ্ছে। এ কারণে বাংলাদেশে মহিলা উদ্যোক্তা উল্লেখযোগ্য হারে বৃদ্ধি পেয়েছে। বাণিজ্যক্ষেত্রে মহিলাদের অংশগ্রহন বেড়েছে।
ইন্টারন্যাশনাল ট্রেড সেন্টারের ভারপ্রাপ্ত নির্বাহী পরিচালক ডরোথি টেম্বো’র সঞ্চালনায় যুক্তরাজ্যের পার্লামেন্টারি আনডার সেক্রেটারি অফ স্টেট এবং প্রধানমন্ত্রীর নারী শিক্ষা বিষয়ক বিশেষ দূত বারোনেস সাগ সিবিই, ত্রিনিদাদ এন্ড টোবাগোর সিনেটর এবং শিল্প ও বাণিজ্যমন্ত্রী মিস পাউলা গোপি-স্কোন বক্তব্য রাখেন।
কুটির শিল্পে বাংলাদেশের নারীরা বেশ সফলতা পেয়েছে। ঢাকাসহ জেলায়গুলোতে মহিলা চেম্বার অফ কমার্স গড়ে উঠেছে। শিল্প খাতের প্রায় ২০ হাজার কোটি টাকার ঋণের মধ্যে শতকরা ২০ শতাংশ ঋণ এসএমইর মাধ্যমে মহিলা উদ্যোক্তাদের দেয়া হচ্ছে।
বাংলাদেশ তৈরি পোশাক রপ্তানিতে বিশ্বের দ্বিতীয় অবস্থানে রয়েছে উল্লেখ করে বাণিজ্যমন্ত্রী বলেন, এই খাতে প্রায় ৪৫ লাখ শ্রমিক কাজ করছে, এর প্রায় ৮০ ভাগই নারী। চলমান কভিড-১৯ (করোনাভাইরাস) পরিস্থিতি মোকাবেলায় এ নারী কর্মীদের সুরক্ষার জন্য মজুরি হিসেবে সরকার ৫ হাজার কোটি টাকা নামমাত্র সুদে সরবরাহ করেছে