পরকীয়া প্রেমের জের ধরে অবশেষে ২০ লাখ টাকা দেন মোহরে আবারো বিয়ের পিঁড়িতে বসলেন গাংনী উপজেলা পরিষদের নারী ভাইস চেয়ারম্যান ফারহানা ইয়াসমীন।
বর মেহেরপুর সদর উপজেলার হরিরামপুর গ্রামের আনসারুল হকের ছেলে গোলাম সরোয়ার ওরফে সবুজ। তিনি এক সন্তানের জনক। তার প্রথম স্ত্রী একজন স্কুলশিক্ষক।
এদিকে ভাইস চেয়ারম্যান ফারহানা ইয়াসমীনের স্বামী শাহাবুদ্দীন আহমেদ প্রায় তিন মাস আগে স্ট্রোকজনিত কারণে মারা যান। এক সন্তানের জননী ফারহানা ইয়াসমীন গাংনী উপজেলা আওয়ামী মহিলা যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক।
মঙ্গলবার (২৬ মে) দুপুর ২টার দিকে গাংনী উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ও মেহেরপুর জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এমএ খালেকের উপস্থিতিতে এ বিয়ে পড়ানো হয়।
বিয়েতে উকালতির দায়িত্ব পালন করেন গাংনী পৌরসভার মেয়র আশরাফুল ইসলাম। এসময় গাংনী পৌর আওয়ামী লীগের সভাপতি সানোয়ার হোসেন বাবলু, সাধারণ সম্পাদক আনারুল ইসলাম বাবু, বুড়িপোতা ইউনিয়ন পরিষদের (মেম্বর) সানোয়ার হোসেন ও ছেলের পিতা আনসারুল হক উপস্থিত ছিলেন।
এর আগে, ভাইস চেয়ারম্যান ফারহানা ইয়াসমীনের গাংনী পৌর সভার চৌগাছা এলাকার ভাড়া বাসা থেকে স্থানীয়রা তাদের দুইজনকে আটক করে। এরপর খবর পেয়ে উপজেলা চেয়ারম্যান এমএ খালেক, গাংনী পৌরসভার মেয়র আশরাফুল ইসলাম, গাংনী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ওবাইদুর রহমানসহ স্থানীয় লোকজন জড়ো হন। প্রথমে তাদের পরকীয়া প্রেমের কথা অস্বীকার করে ধর্ম ভাই পরিচয় দিলেও পরে ছেলের মোবাইল সার্চ করে দুইজনের বিভিন্ন কথোপকথন এবং অসামজিক ছবি উদ্ধার করা হয়। পরে ছেলে সব কথা স্বীকার করাই তাদের দুইজনের বিয়ের আয়োজন করেন তারা।
এ ব্যাপারে উপজেলা চেয়ারম্যান এমএ খালেক বলেন, তাদের দুইজনের মধ্যে অবৈধ প্রেমের সম্পর্ক থাকায় এবং আজকে তাদের দুইজনকে স্থানীয়রা আটক করে। তাদের কথা শুনে এবং তাদের সিদ্ধান্ত মোতাবেক বিয়ের আয়োজন করা হয়।