গাইবান্ধার সুন্দরগঞ্জে এক কিশোরীকে (১৪) অপহরণ ও ধর্ষণ মামলায় গ্রেপ্তার হন আনারুল ইসলাম। ১৩ মাস কারাভোগ শেষে জামিনে বের হয় আনারুল।
জামিনে বের হয়ে সেই কিশোরীকে তুলে নিয়ে বিয়ে করার অভিযোগ উঠেছে তার বিরুদ্ধে। অভিযুক্ত আনারুল ইসলাম উপজেলার কাপাসিয়া ইউনিয়নে ভাটি কাপাসিয়া (দালালপাড়া) গ্রামের ছলিম উদ্দিনের ছেলে।
গত বছরের ৭ জানুয়ারি ওই কিশোরীকে অপহরণ করে আনারুল। গাইবান্ধা সদর উপজেলার বাদিয়াখালীতে আটকে রেখে ধর্ষণ করেন তিনি।
এরপর বাদিয়াখালির একটি বাড়ি থেকে তিনদিন পর মেয়েটিকে উদ্ধার ও আনারুলকে আটক করে পুলিশ।
জামিনে বের হয়ে এসে গত ২২ ফেব্রুয়ারি সেই কিশোরীকে বাড়ি থেকে তুলে নিয়ে যান আনারুল ও তার সহযোগীরা।
মেয়েটিকে বিভিন্ন প্রলোভন ও তার পরিবারের ক্ষতির ভয় দেখিয়ে তাকে আটকে রাখা হয়। এরপর থেকে কিশোরীকে নিজের স্ত্রী দাবি করেন আনারুল।
কিশোরীর পরিবারের দাবি, মেয়েটিকে জোরপূর্বক বাড়ি থেকে তুলে নিয়ে গেছে আনারুল। এরপর কোনো ধরনের রেজিস্ট্রি ছাড়াই তার সঙ্গে আছে। কিশোরী এবং তার পরিবারকে হত্যার হুমকি দেওয়া হচ্ছে।
কিশোরীর ভাই বলেন, ধর্ষণ মামলা থেকে বাঁচতে আনারুল আমার বোনকে তুলে নিয়ে গেছে। এখন বলছে ও নাকি বিয়ে করেছে।
অভিযুক্ত আনারুল ইসলাম বলেন, তাকে (কিশোরী) জোর করে তুলি আনি নাই, মেয়ে নিজেই বাড়িত আসছে। এর আগেও মেয়েটাই আসছিল। উল্টা মামলা দিয়ে ১৩ মাস জেল খাটাইছে। এখন মেয়েটাক বিয়ে করছি, সংসার করতেছি।
একজন অপ্রাপ্তকে কিভাবে বিয়ে করলেন? এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ভাই বিয়েতো পড়াই নাই। রেজিস্ট্রিও করি নাই। মেয়েটা বাড়িত আসছে, তাক কী ফেলাই দেব।এক পর্যায়ে তিনি প্রতিবেদকের ওপর চটে যান এবং প্রাণনাশের হুমকি দেন।
সুন্দরগঞ্জের কঞ্চিবাড়ী পুলিশ তদন্ত কেন্দ্রের ইনচার্জ মোকলেছুর রহমান সরকার জানান, অপহরণ ও ধর্ষণ মামলায় জামিনে রয়েছে আনারুল।
নতুন করে আবার অপহরণ হয়েছে, এ নিয়ে মেয়েটির পরিবার থানায় কোনো অভিযোগ দেননি। লিখিত অভিযোগ দিলে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।