নুরুল হক নুর ও তার সহযোগীদের বিরুদ্ধে পৃথক দুটি ধর্ষণ মামলা দায়েরের প্রেক্ষিতে তদন্ত কমিটি গঠন করেছে নুরের সংগঠন বাংলাদেশ ছাত্র অধিকার পরিষদ।
বুধবার সংগঠনের যুগ্ম-আহ্বায়ক মুহাম্মদ রাশেদ খাঁন স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তিতে এই তথ্য জানানো হয়েছে। এ ছাড়া ‘নিরপেক্ষ তদন্তের স্বার্থে’ সংগঠনের আহ্বায়ক হাসান আল মামুনকেও সাময়িকভাবে অব্যাহতি দেওয়া হয়েছে।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, গত ২১ ও ২২ সেপ্টেম্বর ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের একজন শিক্ষার্থী ছাত্র অধিকার পরিষদের আহ্বায়ক হাসান আল মামুনসহ চার নেতাকর্মীর বিরুদ্ধে ধর্ষণ ও ধর্ষণের সহযোগিতার অভিযোগ এনে লালবাগ ও কোতোয়ালি থানায় দুটি অভিযোগ দায়ের করেন।
প্রতিষ্ঠালগ্ন থেকেই ছাত্র অধিকার পরিষদ ছাত্র তথা গণমানুষের যৌক্তিক ও ন্যায়সঙ্গত অধিকার আদায়ে সোচ্চার ভূমিকা পালন করে যাচ্ছে।
নারীর প্রতি বৈষম্য, নারী নিপীড়ন ও নারীদের অধিকার প্রতিষ্ঠায় ছাত্র অধিকার সবসময় সোচ্চার ভূমিকা পালন করে আসছে।
তাই সংগঠনের নেতা-কর্মীদের বিরুদ্ধে আনীত অভিযোগের সত্যতা নিরুপণে এবং সুষ্ঠু ও ন্যায়বিচারের স্বার্থে তিন জনকে নিয়ে তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে।
সংগঠনের ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শাখার সভাপতি বিন ইয়ামিন মোল্লা, কেন্দ্রীয় যুগ্ম-আহ্বায়ক তারেক রহমান ও রাফিয়া সুলতানা। তাদের আগামী ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে সুপারিশসহ প্রতিবেদন দিতে বলা হয়েছে।
এর আগে, গত রবিবার ঢাকার লালবাগ থানায় নুর ও তার পাঁচ সহযোগীর বিরুদ্ধে ধর্ষণ মামলা দায়ের করেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের এক ছাত্রী।
পরে মঙ্গলবার কোতোয়ালি থানায় পৃথক আরেকটি মামলা করেন একই ছাত্রী। লালবাগ থানার মামলায় হাসান আল মামুন ও অপর মামলায় পরিষদের যুগ্ম-আহ্বায়ক নাজমুল হাসান সোহাগকে প্রধান আসামি করা হয়েছে।
অপর আসামীদের মধ্যে রয়েছেন পরিষদের যুগ্ম-আহ্বায়ক নুরুল হক নুর, মো. সাইফুল ইসলাম, ঢাবি শাখার সহ-সভাপতি মো. নাজমুল হুদা ও ঢাবি শিক্ষার্থী আব্দুল্লাহ হিল বাকী।