শরীয়তপুরের নড়িয়ায় কলেজছাত্রীকে পালাক্রমে ধর্ষণের ঘটনায় সেই চার ধর্ষককে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। শনিবার রাতে ঢাকার শ্যামপুর এলাকা থেকে দুইজন ও জাজিরা উপজেলার মঙ্গলমাঝিরঘাট এলাকা থেকে দুইজনকে গ্রেফতার করা হয়।
গ্রেফতাররা হলেন নড়িয়া উপজেলার বিঝারি ইউপির কান্দিগাঁও গ্রামের জয়নাল মোল্লার ছেলে বেলায়েত হোসেন শৃঙ্খল মোল্লা, সদর উপজেলার দাত্রা গ্রামের কালু সরদারের ছেলে হৃদয় সরদার, কাশেম সরদারের ছেলে আরিফ সরদার ও আলমগীর মোল্লার ছেলে মুরাদ মোল্লা।
গত ১৩ মার্চ শরীয়তপুর সরকারি কলেজ থেকে দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে অটোরিকশাযোগে পালং উত্তর বাজার দিয়ে কানার বাজার যান ওই কলেজছাত্রী। কানার বাজার থেকে নিজ এলাকা নড়িয়ার কাপাশপাড়া যাওয়ার জন্য অটোরিকশা না পেয়ে বাড়ির উদ্দেশে হাঁটতে থাকেন। হাঁটতে হাঁটতে কান্দিগাঁও এলাকায় পৌঁছালে কলেজছাত্রীকে তুলে নিয়ে যায় ওই এলাকার শৃঙ্খল মোল্লা। পরে নিপু খার মাছের ঘেরে আটকে তাকে পালাক্রমে গণধর্ষণ করেন শৃঙ্খল মোল্লা ও তার তিন বন্ধু হৃদয় শিকদার, মুরাদ মোল্লা ও আরিফ সরদার। ধর্ষণ শেষে কলেজছাত্রীকে ফেলে পালিয়ে যায় তারা। মেয়েটির চিৎকারের আওয়াজ পেয়ে তাকে উদ্ধার করে শরীয়তপুর সদর হাসপাতালে ভর্তি করে স্থানীয়রা। পরদিন সকালে চারজনকে আসামি করে নড়িয়া থানায় একটি ধর্ষণ মামলা করেন ওই ছাত্রীর বড় ভাই।
ওই ছাত্রীর বাবা বলেন, আমার মেয়েকে ওরা খারাপ কাজ করেছে। মেয়েকে এখন কীভাবে বিয়ে দেব, গ্রামে কেমনে মুখ দেখাবো? আমার মেয়েকে যারা খারাপ কাজ করেছে তাদের আটক করেছে পুলিশ। আটকদের ফাঁসি দেয়া হোক।
শরীয়তপুর সদর হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ক ডা. মনির আহম্মেদ খান বলেন, ওই ছাত্রীর মেডিকেল পরীক্ষা করা হয়েছে। রিপোর্ট সম্পূর্ণ হলে বলা যাবে তার সঙ্গে কি হয়েছিল।
নড়িয়া থানার ওসি মো. হাফিজুর রহমান বলেন, এ ঘটনায় ওই ছাত্রীর বড় ভাই বাদী হয়ে থানায় মামলা করেছে। ঘটনায় জড়িত চারজনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। তাদের আদালতে পাঠানো হয়েছে।