নাটোরে করোনা উপসর্গ থাকায় চিকিৎসা না পেয়ে আব্বাস আলী গাজী (৭৮) নামে এক মুক্তিযোদ্ধার মৃত্যুর অভিযোগ করেছেন তার স্বজনরা। তবে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ এ অভিযোগ অস্বীকার করে জানায়, করোনা উপসর্গ থাকায় ওই রোগীকে জেনারেল ওয়ার্ডে ভর্তি না করে করোনা আইসলেশন ওয়ার্ডে ভর্তির কথা বলা হলেও তার স্বজনরা ভর্তি করাতে অস্বীকার করেছেন।
রোববার (১৯ জুলাই) নাটোর শহরের সদর থানা এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। মৃত আব্বাস আলী গাজী সদর উপজেলার আগদিঘা কাটাখালী গ্রামের বাসিন্দা। এ ঘটনায় মুক্তিযোদ্ধা সহ সাধারণ মানুষের মাঝে ব্যাপক উত্তেজনা দেখা দিয়েছে।খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে ছুটে গেছেন স্থানীয় সংসদ সদস্য, জেলা প্রশাসক, পুলিশ সুপার, সিভিল সার্জসসহ স্বাস্থ্য বিভাগের উর্ধ্বতন কর্মকর্তারা।
মৃত মুক্তিযোদ্ধা আব্বাস আলী গাজীর ছেলে আজিম উদ্দিন গাজী অভিযোগ করেন, গত দুই বছর থেকে বাবা শ্বাসকষ্টে ভুগছিলেন। রাতে শ্বাসকষ্ট বেশি হলে তাকে প্রথমে সদর হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানে ডাক্তাররা আমার বাবাকে ভর্তি করেননি। পরে সততা ক্লিনিকে নিয়ে এলে অনেকগুলো টেষ্ট করানো হয়। টেষ্ট করার পর বাবাকে আবার সদরে পাঠানো হয়। সেখানে নিয়ে গেলে ডাক্তার ভর্তি নেয়নি। আবার সততা ক্লিনিকে এলে বাবা মারা যান। একজন মুক্তিযোদ্ধা। বিনা চিকিৎসায় নানার মৃত্যু মেনে নিতে পারছি না। বিনা চিকিৎসায় মৃত্যুর বিচার চান তিনি।
এ ব্যাপারে সততা ক্লিনিকের পরিচালক আব্দুল আওয়াল রাজা বলেন, করোনা উপসর্গ নিয়ে মুক্তিযোদ্ধা আব্বাস আলী গাজীকে আমাদের ক্লিনিকে নিয়ে আসে। আমরা তাৎক্ষণিকভাবে অক্সিজেন ও নেবুলানাইজার করানোর পরে নাটোর হাসপাতালের করোনা কনসালটেন্ট ডাঃ আনিসুজ্জামানের পরামর্শে চিকিৎসা দেওয়া হয়। রোগী কিছুটা সুস্থ বোধ করলে হাসপাতালে ভর্তির পরামর্শ দিলে দুপুরে রোগীকে নিয়ে তার স্বজনরা চলে যায়। পরে সাড়ে তিনটার দিকে যখন নিয়ে আসে তখন তার অবস্থা খারাপ হয়ে যায়। আমরা যথা সাধ্য চেষ্টা করেও তাঁকে বাঁচাতে পারিনি। তিনি বেলা পৌণে ৪টার দিকে তার মৃত্যুবরণ করেন।
তবে হাসপাতালের আবাসিক চিকিৎসক (আরএমও) ডাঃ সোহেল জানান, তিনি এ বিষয়ে কিছু জানেন না।
আরেক আবাসিক চিকিৎসক (আরএমও) ডাঃ মঞ্জুর রহমান জানান, তিনি সিভিল সার্জন অফিসে শনিবার সারাদিন ট্রেনিংয়ে ছিলেন। তবে খোঁজ নিয়ে জেনেছেন দায়িত্বরত ডাঃ কাজী রাসেলের কাছে ওই রোগীকে নিয়ে গেলে তিনি দেখেন যে, রোগীর জ্বর ও শ্বাস কষ্ট রয়েছে। এ কারণে তিনি রোগীকে জেনারেল ওয়ার্ডে ভর্তি না করে করোনা আইসলেশন ওয়ার্ডে ভর্তির পরামর্শ দেন। কিন্তু রোগীর স্বজনরা করোনা আইসলেশন ওয়ার্ডে ভর্তি না করে রোগীকে ফেরৎ নিয়ে যান।
তিনি আরো বলেন, করোনাাকালীন সময়ে সাধারণ রোগীদের স্বার্থ বিবেচনা করেই করোনা আইসলেশন ওয়ার্ডে ভর্তির কথা বলা হয়েছিল। তবে ডাঃ কাজী রাসেলের মোবাইল নম্বরে একাধিকবার ফোন দিলেও তার নম্বরটি বন্ধ পাওয়া যায়।
নাটোরের সিভিল সার্জন ডা. কাজী মিজানুর রহমান বলেন, এটা দুঃখজনক ঘটনা। আমি জানার পরে বিষয়টা নিয়ে তদন্ত করার নির্দেশ দিয়েছি। কারো কোনো রকম গাফিলতি থাকলে তদন্ত করে ব্যবস্থা নেওয়া বলেও জানান তিনি।
জেলা প্রশাসক মোহম্মদ শাহরিয়াজ জানান, ঘটনাটি অত্যন্ত দুঃখজনক। দায়িত্বে অবহেলার জন্য অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হবে বলেও জানান তিনি।
নাটোর-২ (সদর-নলডাঙ্গা) আসনের সংসদ সদস্য ও জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক শফিকুল ইসলাম শিমুল ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, বিনা চিকিৎসায় কোন মানুষের মৃত্যু হবে এটা মেনে নেয়া যায় না। দোষীদের বিরুদ্ধে অবশ্যই আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে বলে জানান তিনি।
পুনরায় নির্বাচিত হওয়ায় বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে অভিন্দন জানিয়েছেন রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন। বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রীর…
রিয়াদ প্রতিনিধি- ১০জানুয়ারী বুধবার স্হানীয় সময় রাত সাড়ে ১০ঘটিকায় হোটেল ডি-প্যালেসে রিয়াদ মহানগর বঙ্গবন্ধু ফাউন্ডেশন,…
দ্বাদশ সংসদ নির্বাচনে নারায়ণগঞ্জ-১ (রূপগঞ্জ) আসনের কয়েকটি ভোট কেন্দ্র পরিদর্শন করেছেন যুক্তরাষ্ট্র, জার্মানি ও আয়ারল্যান্ডের…
নির্বাচনের আগে দেশে বিশৃঙ্খল পরিস্থিতি সৃষ্টি করে বিদেশি সংস্থা, মিডিয়া ও বিভিন্ন দেশের মনোযোগ নেয়ার…
হিরো আলম রবীন্দ্র সঙ্গীত গাওয়ার পর সারা দেশে হইচই শুরু হয়ে যায়। এমনকি ওই প্রতিবাদের…
বর্তমানে পশ্চিমা বিশ্বের সাথে সেমিকন্ডাক্টর চিপ নিয়ে বড় ধরনের যুদ্ধ চালিয়ে যাচ্ছে রেড জায়ান্ট চীন।…
Leave a Comment