ট্যানারি মালিকদের সিন্ডিকেট ভেঙে দিয়ে কোরবানির পশুর চামড়ার ন্যায্যমূল্য প্রাপ্তি নিশ্চিত করার জন্য প্রধানমন্ত্রীর প্রতি দাবি জানিয়েছেন আল-হাইআতুল উলয়া লিল জামি‘আতিল কওমিয়া বাংলাদেশের নেতৃবৃন্দ ও দেশের শীর্ষ উলামায়ে কেরাম।
কোরবানির পশুর চামড়া অসহায় গরিব এতিমদের হক। অথচ এক শ্রেণির ব্যবসায়ীরা সিন্ডিকেটের মাধ্যমে চামড়ার দাম কমিয়ে গরিব ও এতিমদের হক নষ্ট করছে এবং দেশের চামড়া শিল্পকে ধ্বংস করার ষড়যন্ত্র করছে। কোরবানির ঈদ যত ঘনিয়ে আসছে, কোরবানির পশুর চামড়ার দর নিয়ে বিগত বছরগুলোর ন্যায় ট্যানারি মালিক সিন্ডিকেট সক্রিয় হয়ে উঠছে।
গত বছর দেশের বহু এলাকায় চামড়ার ন্যায্যমূল্য না পেয়ে স্থানীয় জনগণ চামড়া মাটিতে পুঁতে ফেলে, আগুনে পুড়িয়ে ও পানিতে ফেলে প্রতিবাদ করেছে। এ বছর যদি ঈদের আগে চামড়ার ন্যায্যমূল্য প্রাপ্তি নিশ্চিত করা না যায়, তবে দেশের মাদরাসাগুলো এবং ক্ষুদ্র চামড়া ব্যবসায়ীগণ চামড়া সংগ্রহে আগ্রহ হারিয়ে ফেলবে। ফলে দেশের বিপুল পরিমাণ সম্পদ নষ্ট হবে এবং বৈদেশিক মুদ্রা প্রাপ্তির অন্যতম শিল্প ধ্বংস হবে।
কো-চেয়ারম্যান মাওলানা আব্দুল কুদ্দুছের সভাপতিত্বে সভায় উপস্থিত ছিলেন মাওলানা নূর হোসাইন কাসেমী, মুফতি মো: ওয়াক্কাস, মাওলানা নূরুল ইসলাম, মাওলানা আব্দুল হামীদ (পীর সাহেব, মধুপুর), মাওলানা আবু তাহের নদভী, মুফতি শাসমুদ্দীন জিয়া, মাওলানা আব্দুল বছীর, মাওলানা মুহিব্বুল হক, মাওলানা মাহমুদুল আলম, মুফতি মোহাম্মাদ আলী, মাওলানা ইয়াহইয়া মাহমুদ, মাওলানা সাজিদুর রহমান, মুফতি ফয়জুল্লাহ, মাওলানা মাহফুজুল হক, মাওলানা আনাস মাদানী প্রমুখ।