পাবনায় গোপন বৈঠক করাকালে জামায়াতের অঙ্গ সংগঠন ইসালামী ছাত্রী সংস্থার ১৩ নারী সদস্যসহ এক মাদ্রাসা অধ্যক্ষকে আটকের ঘটনায় সন্ত্রাস বিরোধী আইনে মামলা দায়ের করেছে পুলিশ। রোববার রাতে অভিযানে আটককৃতদের সোমবার দুপুরে আদালতে প্রেরণ করা হয়। আসামীদের সোমবার বিকেলে আদালতের মাধ্যমে জেল হাজতে প্রেরণ করা হয়েছে বলে জানান পুলিশ।
পাবনা শহরতলীর মনসুরাবাদ আবাসিক এলাকা থেকে গোপন বৈঠক করা কালিন পাবনা থানা পুলিশ তাদের আটক করে। এসময় তাদের কাছ থেকে বিপুল সংখ্যক জিহাদী বইপত্র উদ্ধার করা হয়েছে বলে পুলিশ জানায় পুলিশ।
পাবনা সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) নাছিম আহম্মেদ জানান, পাবনা শহরের মনছুরাবাদ আবাসিক এলাকার অধ্যক্ষ মাওলানা আনোয়ার হোসেনের বাড়িতে বাসা ভাড়া থাকত এই নারীরা। এদিন রাতে পুলিশের কাছে খবর আসে ঐ বাড়িতে ইসলামী ছাত্রী সংস্থার সদস্যরা গোপন বৈঠক করছে। এমন সংবাদের ভিত্তিতে পুলিশ সেখানে অভিযান চালিয়ে বিপুল সংক্ষক জিহাদী বই, নগদ টাকা, ল্যাবটপসহ ১৩ নারীকে আটক করে। এসময় বাড়ির মালিক অধ্যক্ষ আনোয়ার হোসেনকেও আটক করা হয়। আটকৃত নারী সদস্যরা বিভিন্ন কলেজ ও বিশ^বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী। তাদের বাড়ী পাবনা জেলাসহ জেলার বাহিরেরও রয়েছে। তারা নাশকতার পরিকল্পনার উদ্ধেশ্যে একতৃত হয়েছিলো বলে পুলিশ জানান।
প্রসঙ্গত,পাবনা শহরতলীর মনসুরাবাদ আবাসিক এলাকার ৫ নং সড়কের ১১৯ নং বাড়িটির মালিক সাঁথিয়া উপজেলার ধুলাউড়ি কামিল মাদ্রাসার অধ্যক্ষ মাওলানা আনোয়ার হোসেন। দ্বিতল এই বাড়ির নিচ তলায় জামায়াতের নারী সদস্যদের আস্তানা ছিল। এখান থেকে নারী সদস্যরা মেয়েদেরকে সংগঠিত এবং নাশকতার ছক পরিচালনা করতেন বলে ধানা করছে পুলিশ। গোপন সংবাদের ভিত্তিতে পুলিশ রাত সারে ৯টার দিকে ওই ঘিরে ফেলে এবং সেখান থেকে বৈঠক করা অবস্থায় জামায়াতের ইসলামী ছাত্রী সংগঠনের ১৩ নারী সদস্য এবং বাড়ির মালিক পাবনা সাথিয়া উপজেলার ধুলাউড়ি কামিল মাদ্রাসার অধ্যক্ষ আনোয়ার হোসেনকে আটক করে। অভিযানে ওই আস্তানা থেকে বিপুল সংখ্যক জিহাদি বই,লিফলেট, ল্যাপটপ ও নগদ অর্থ, ও বেশ কিছু মোবাইল ফোন উদ্ধার করা হয়েছে বলে নিশ্চিত করেছে পুলিশ।
Leave a Comment