অদৃশ্য কারণে আটকে আছে ব্রাহ্মণবাড়িয়া মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের চেয়ারম্যান ডা. মো. আবু সাঈদকে গ্রেফতারে পাবনার ঈশ্বরদী থানা পুলিশের পাঠানো রিকুইজিশন। করোনাভাইরাস পরীক্ষার রিপোর্ট নিয়ে প্রতারণার অভিযোগে ঈশ্বরদী থানায় দায়ের করা মামলায় দ্বিতীয় অভিযুক্ত ডা. সাঈদ। কিন্তু রহস্যজনক কারণে এখনও তাকে গ্রেফতার করা হচ্ছে না।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, স্বাস্থ্য অধিদফতরের অনুমোদনহীন পাবনার ঈশ্বরদী উপজেলার রূপপুর মেডিকেয়ার ক্লিনিক কর্তৃপক্ষকে করোনাভাইরাস পরীক্ষার জন্য নমুনা সংগ্রহের অনুমতি দেয় ব্রাহ্মণবাড়িয়া মেডিকেল কলেজ কর্তৃপক্ষ। মেডিকেয়ার ক্লিনিকের সংগ্রহ করা রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্রের ৫০ জন শ্রমিক-কর্মচারীর নমুনা পরীক্ষা করা হয় ব্রাহ্মণবাড়িয়া মেডিকেল কলেজের পিসিআর (পলিমার চেইন রিঅ্যাকশন) ল্যাবে।
কিন্তু সরকারের অনুমোদন ছাড়া অবৈধভাবে নমুনা সংগ্রহ ও ভুয়া রিপোর্ট দেয়ার মাধ্যমে প্রতারণার অভিযোগে মেডিকেয়ার ক্লিনিক কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে মামলা হয় ঈশ্বরদী থানায়। গত ৮ জুলাই দায়ের হওয়া ওই মামলায় দ্বিতীয় অভিযুক্ত করা হয় ডা. আবু সাঈদকে।
ইতোমধ্যে মেডিকেয়ার ক্লিনিকের মালিক আবদুল ওহাব রানাকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। পাশাপাশি ক্লিনিকটি সিলগালাও করে দেয়া হয়েছে।
মামলা নথিভুক্ত হওয়ার পরদিন (৯ জুলাই) ডা. আবু সাঈদকে গ্রেফতারে ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর মডেল থানা পুলিশের কাছে রিকুইজিশন পাঠায় ঈশ্বরদী থানা পুলিশ। কিন্তু রহস্যজনক কারণে ১১ দিনেও সেই রিকুইজিশন পায়নি ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর মডেল থানা পুলিশ। ফলে ডা. সাঈদকে গ্রেফতার করছে না পুলিশ।
ঈশ্বরদী থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শেখ মো. নাসির উদ্দিন বলেন, রিকুইজিশনটি আমরা ওসি সাহেবের মেইলে, ডাকে এবং আমাদের সিডিএমএসে দিয়েছি। এখন রিকুইজিশন পেল কি-না সেটি আমাদের ব্যাপার নয়, আমরা পাওয়ার মতো করেই দিয়েছি।
এ ব্যাপারে বক্তব্য জানতে ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর মডেল থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মুহাম্মদ সেলিম উদ্দিনের মুঠোফোনে একাধিকবার কল করলেও তিনি রিসিভ করেননি।
থানার পরিদর্শক (তদন্ত) মুহাম্মদ শাহজাহান জানান, তারা এখন পর্যন্ত ডা. সাঈদকে গ্রেফতারের জন্য ঈশ্বরদী থানার রিকুইজিশন পাননি।