—
পর্যাপ্ত মজুদ থাকার পরও খারাপ আবহাওয়া, আমদানি সংকটসহ নানা অজুহাতে পাবনায় নিয়ন্ত্রণহীন পিয়াজের বাজার। বাজারে মুড়িকাটা পিয়াজ আসায় দাম কমলেও, অসাধু চক্রের কারসাজিতে ক্রমাগত ওঠা-নামায় শুক্র ও শনিবার পিয়াজের দাম ছাড়ায় ডাবল সেঞ্চুরির ঘর। সোমবার বাজারে সরবরাহ বাড়ায় দাম কমে মানভেদে প্রতিকেজি মুড়িকাটা পিয়াজ বিক্রি হয়েছে ১১০ থেকে ১৪০ টাকা পর্যন্ত। বাজারের এমন অস্বাভাবিক আচরণে ক্ষুব্ধ ক্রেতারা, বিভ্রান্ত কৃষক ও বিক্রেতারাও। বাজার নিয়ন্ত্রণে নির্ধারিত দাম বেঁধে দেওয়াসহ নজরদারি বাড়ানোর দাবি তাদের।
চাষীরা জানান, অকাল বন্যায় রোপণে কিছুটা দেড়ি হলেও আবহাওয়া অনুকূলে থাকায় পাবনায় মুড়িকাটা পিয়াজের ফলন ভালো হয়েছে। পিয়াজ উৎপাদনে আজন্ম লোকসানের সাথে পরিচিত পাবনার চাষীদের এবছর লাভের অংক ছাড়িয়েছে সর্বকালের রেকর্ড। শীতের তীব্রতা উপেক্ষা করে মাঠে মাঠে পিয়াজ উত্তোলনে চাষীদের এখন দারুণ ব্যস্ততা।
চাষীরা বলছেন, এ বছর পিয়াজের যে দাম তাতে লোকসান হচ্ছে না কারোই। মণপ্রতি ৩৫০০ থেকে ৪০০০ টাকা পেলেই তারা ভালো লাভ পাবেন। মৌসুমের শুরু থেকে এমন দাম পেলেও, গত এক সপ্তাহে কয়েক ঘণ্টার ব্যবধানে মণপ্রতি দুই থেকে তিন হাজার টাকা বেড়ে বিক্রি হয়েছে মণপ্রতি ছয় থেকে সাত হাজার টাকা। কখনো শৈত্যপ্রবাহ, কখনো বৃষ্টির অজুহাতে কৃত্রিম সংকট সৃষ্টি করে বাজারে অস্বাভাবিক পরিস্থিতি তৈরি করে স্বার্থসিদ্ধি করছে অসাধু ব্যবসায়ীরা। পিয়াজের দামের আকাশ-পাতাল ফারাকে বিভ্রান্তিতে পড়ছেন চাষী ও খুচরা বিক্রেতারাও। বাজার নিয়ন্ত্রণে দ্রুত পদক্ষেপ চান তারা