এবারের প্রাথমিক শিক্ষা সমাপনী (পিইসি) পরীক্ষায় সর্বোচ্চ নম্বর পেয়ে কৃতিত্ব অর্জন করেছে ঝিনাইদহের অতিথী মাহজাবিন ও সৈয়দা তাজরিন আশরাফী ঋদ্ধি। তাদের এ সাফল্যে উচ্ছ্বসিত ঝিনাইদহবাসী। সর্বোচ্চ ফলাফলের জন্য তাদের বিভিন্ন মহল থেকে অভিনন্দন জানানো হচ্ছে।জানা যায়, ঝিনাইদহ শহরের আরাপপুর চানপাড়ার মো. ওয়াজেদ আলী ও শাপলা নাজনীন শিউলীর দম্পতির মেয়ে অতিথী মাহজাবিন।
আর আরাপপুর সোনালীপাড়ার মো. আশরাফুজ্জামান ও সাইফা সানজিমা লিপি দম্পতির মেয়ে সৈয়দা তাজরিন আশরাফী ঋদ্ধি। তারা দুজনই ঝিনাইদহ সরকারি বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ে থেকে এবার পিইসি পরিক্ষায় ৬০০ নম্বর এর মধ্যে ৬০০ নম্বর পেয়ে গৌরবান্বিত ফলাফল করেছে। অতিথী ও ঋদ্ধি জানায়, পরীক্ষা দেয়ার পর থেকে ভালো ফলাফলের আশা ছিল তাদের। পরিবারের নজরদারি আর শিক্ষকদের দিক-নির্দেশনা মেনে চলার কারণে তাদের এ সাফল্য। বড় হয়ে অতিথী ম্যাজিস্ট্রেট আর ঋদ্ধি ডাক্তার হতে চায় বলে জানায়। অতিথী মাহজাবিনের বাবা মো. ওয়াজেদ আলী বলেন, কোচিং বা প্রাইভেটকে খুব গুরুত্ব দিত না অতিথী। অতিথী স্কুল থেকে ফেরার পর রাতে পড়ার বিষয়গুলো নিয়ে আমরা আলাপ-আলোচনা করতাম। বেশি গুরুত্ব দিতাম মূল বইয়ের প্রতি।
তবে তার পড়ার বিষয়ে কখনো চাপ দিতে হয়নি আমাদের।ঝিনাইদহ সরকারি বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের শিক্ষিক নাজমুল ইসলাম বলেন, অতিথী ও ঋদ্ধি অন্যান্য শিক্ষার্থীদের থেকে একটু আলাদা। তারা কোনো বিষয়ে বুঝতে না পারলে আমাদের কাছে এসে তা নিয়ে আলোচনা করতো, যা অন্যদের মধ্যে দেখা যায় না।ঝিনাইদহ সরকারি বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ে প্রধান শিক্ষিকা লক্ষ্মী রানী পোদ্দার বলেন, অতিথী ও ঋদ্ধির এই ফলাফল স্কুলের সুনাম বৃদ্ধি করেছে। আমরা তাদের ভেতর আলাদা একটা প্রতিভা লক্ষ্য করি। সে অনুয়ায়ী তাদের দিক-নির্দেশনা দেই। অতিথী ও ঋদ্ধির সাফল্যের অন্যতম একটি দিক হলো পরীক্ষায় সুন্দর হাতের লেখা।