আবারও আলোচনায় কক্সবাজারের পুলিশ। এবার বাড়িতে ঢুকে এক নারীকে পিস্তল ঠেকিয়ে তিন লাখ টাকা ছিনিয়ে নেওয়ার অভিযোগ উঠেছে এক এসআইসহ তিন পুলিশ সদস্যের বিরুদ্ধে।
সাদা পোশাকে পিস্তল নিয়ে গত সোমবার সন্ধ্যায় তাঁরা বিমানবন্দরের পশ্চিমে মধ্যম কুতুবদিয়াপাড়ায় ছিনতাইয়ে গিয়েছিলেন। এ ঘটনায় দায়ের করা মামলায় গ্রেপ্তার তিনজনকেই গতকাল মঙ্গলবার দুই দিন করে রিমান্ডে পাঠিয়েছেন আদালত।
তাঁরা হলেন কক্সবাজার সদর মডেল থানাধীন শহর পুলিশ ফাঁড়ির উপপরিদর্শক নূর-ই-খোদা ছিদ্দিকী, কনস্টেবল আমিনুল ও মামুন মোল্লা। ছয় মাস আগে তাঁরা কক্সবাজার জেলা পুলিশে যোগ দেন।
সেনাবাহিনীর অবসরপ্রাপ্ত মেজর সিনহা মোহাম্মদ রাশেদের হত্যাকাণ্ডের পর গত বছরের আগস্টে কক্সবাজার জেলার তৎকালীন পুলিশ সুপার এ বি এম মাসুদ হোসেনসহ এক হাজার ৬০০ পুলিশ সদস্যকে একযোগে বদলি করা হয়েছিল। পরে নতুন পুলিশ সদস্যরা কক্সবাজারে আসেন। তাঁদের মধ্যে এই তিনজনও ছিলেন। সাময়িকভাবে তাঁদের বরখাস্ত করা হয়েছে।
টাকার ব্যাগ নিয়ে সিএনজিচালিত অটোরিকশায় করে পালানোর সময় রোজিনা খাতুন (৩৫) এক পুলিশ সদস্যকে জাপটে ধরে ফেলেন। সদর মডেল থানা পুলিশ তাঁর এ সাহসিকতার জন্য তাঁকে পাঁচ হাজার টাকা দিয়ে পুরস্কৃত করেছে।
আমার ঘরে ঢুকে টাকার ব্যাগ নিয়ে যাওয়ার সময় যখন আমি বাধা দিই, তখন ওরা বলে, গুলি করে দেব, আমরা পুলিশের লোক। ওদের বলি, আমি জান দেব তবু তোদের ধরব। এই বলেই পেছনের একজনকে দুই হাতে ঝাপটে ধরি।
তিনি বলেন, ধরা পড়া পুলিশ সদস্য ছাড়া পেতে মরিয়া চেষ্টা করেন। অপর দুজনের একজন পিস্তলের বাঁট দিয়ে তাঁকে আঘাত করেন। হাতেও কামড় দেন। রোজিনার চিৎকারে এলাকার লোকজন এসে জড়ো হয়। ততক্ষণে দুই পুলিশ সদস্য পালিয়ে যান।
এরপর রোজিনা ৯৯৯ নম্বরে ফোন করেন। কক্সবাজার সদর মডেল থানা পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে আটক পুলিশ সদস্যকে এবং রাতে বাকি দুই পুলিশ সদস্যকে গ্রেপ্তার করে।
অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মো. রফিকুল ইসলাম জানান, ঘটনার সময় সিএনজিচালিত রিকশার চালকসহ এক দালাল ছিল। তাদের গ্রেপ্তারে চেষ্টা চলছে। তাদের সবার বিরুদ্ধে দ্রুত বিচার আইনে মামলা করা হয়েছে।
তিনি আরো জানান, অভিযুক্ত পুলিশ সদস্যদের সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট মো. দেলোয়ার হোসেনের আদালতে তুলে পাঁচ দিনের রিম্যান্ডের আবেদন করা হয়েছিল।