পুরনো জুতা স্যান্ডেল দিয়ে ভোট চোরদেরকে মারতে হবে’- দলের নেতাকর্মীদের প্রতি এমন আহ্বান জানিয়ে নোয়াখালীর কোম্পানীগঞ্জ উপজেলার বসুরহাট পৌরসভার মেয়র পদপ্রার্থী আব্দুল কাদের মির্জা বলেছেন, লাঠি তৈরি করে রেখেছেন তো, ভোট চুরি করতে আসলে ওই লাঠি দিয়ে হাঁটুর নিচে মারবেন।
পারবেন তো আপনারা। পায়ের জুতা পুরাতনগুলো নিয়ে যাবেন। কারণ নতুন জুতা দিয়ে মারলে হবে না।
বসুরহাট পৌরসভার ৪ নম্বর ওয়ার্ডের নির্বাচনী কর্মিসভায় এসব কথা বলেন মেয়র পদপ্রার্থী আব্দুল কাদের মির্জা।
বসুরহাট পৌরসভায় নৌকা প্রতীকের মেয়র পদপ্রার্থী আবদুল কাদের মির্জা আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদেরের ছোট ভাই। তিনি বসুরহাট পৌরসভার একাধিকবার নির্বাচিত মেয়র। তাঁর সাম্প্রতিক বক্তব্য রাজনৈতিক অঙ্গনে তোলপাড় সৃষ্টি করেছে।
দলের নেতাকর্মীদের উদ্দেশে তিনি বলেন, পুরনো জুতা স্যান্ডেল দিয়ে ভোট চোরদেরকে মারতে হবে। যেই হোক রাস্তায় বাধায় দিলে, ভোটকেন্দ্রে বিতলামি করলে এ ব্যবস্থা রাখবেন।
আমার ভোট প্রশ্নবিদ্ধ করার জন্য তথাকথিত আওয়ামী লীগাররা নোয়াখালীর বিএনপির সাবেক মেয়র হারুনকে ৫০ লাখ টাকা দিয়ে বসুরহাট পাঠিয়েছে বিএনপির মেয়র ও কাউন্সিলর প্রার্থীদের দেওয়ার জন্য।
মারামারি, দাঙ্গা-হাঙ্গামা বাধিয়ে নির্বাচনকে প্রশ্নবিদ্ধ করার জন্য। কারণ আমি বলছি ফেয়ার নিরপেক্ষ ভোট হবে। আর ষড়যন্ত্রকারীরা মারামারি ও দাঙ্গা বাধিয়ে প্রচার করবে-এখানে ভোট ফেয়ার হয়নি, রক্তপাত হয়েছে।
কাদের মির্জা বলেন, আগে চেষ্টা করেছে আমাকে পরাজিত করার জন্য, তারা দেখেছে আমাকে হারানো সম্ভব নয়। এখন ষড়যন্ত্রের ধরন পাল্টিয়ে এসব করছে। আমার বিরুদ্ধে নয়, আমাদের দলীয় কাউন্সিলর প্রার্থীদের বিরুদ্ধেও ষড়যন্ত্র চলছে।
বিএনপি প্রার্থী ভোট বর্জন করবেন দাবি করে কাদের মির্জা বলেন, ভোটের দিন দুপুর ১২টায় হয়তো বিএনপির মেয়র পদপ্রার্থী কামাল চৌধুরী বলবেন, কারচুপি হয়েছে আমি ভোট বর্জন করলাম।
বিএনপির প্রত্যাশা এটা। আরেক প্রার্থী জামায়াতের মোশারফের কথা আমি জানি না। এরা সবাই টাকা-পয়সা খেয়ে ভোটে রং লাগানোর চেষ্টা করছে।’
দলের কর্মীদের সতর্ক থাকার আহ্বান জানিয়ে তিনি বলেন, এসব ব্যাপারে আমাদের সবাইকে সজাগ দৃষ্টি রাখতে হবে। আমিও অনেক ভুলভ্রান্তি করেছি, অনেক ত্রুটি-বিচ্যুতি হয়েছে। এটা আর চলতে দেওয়া যায় না।