টাঙ্গাইলের পুলিশ সুপার (পিটিসি) আব্দুর রহিম শাহ চৌধুরীর বিরুদ্ধে পরিচ্ছন্নতা কর্মীকে নির্যাতনের অভিযোগ করা হয়েছে। আজ শনিবার সকাল সাড়ে ১১টায় বাংলাদেশ ক্রাইম রিপোর্টার্স অ্যাসোসিয়েশন-ক্র্যাব মিলনায়তনে এ অভিযোগ করেন নির্যাতনের শিকার টাঙ্গাইল পুলিশ ট্রেনিং সেন্টারে (মহেরা) কর্মরত পরিচ্ছন্নতা কর্মী মো. ফরিদ মিয়া ও তার পরিবার। ফরিদ মিয়ার বাড়ি টাঙ্গাইল সদর থানার খাগজানা গ্রামে।
ফরিদ মিয়া বলেন, আমার উপর মিথ্যা টাকা চুরির অপবাদ দিয়ে আব্দুর রহিম শাহ চৌধুরী তার নিজের বাংলোয় আটকে রেখে বেধরক মারধর করে। তিন দিন বিনা দোষে থানা হাজতে আটকে রাখে। পরে এসপি স্যারের নির্দেশে এসআই আবুল বাশার মোল্লা আমার ওপর নির্যাতন চালিয়ে ৭০ হাজার টাকা আদায় করেছে। এই টাকা আমার আত্মীয়রা বিভিন্ন জনের কাছ থেকে ধার-দেনা করে দিয়েছে। বর্তমানে আমার চাকরিটিও নেই। আমি অনেকটা নিঃস হয়ে গেছি। আমি ও আমার পরিবার এখন মানবেতর জীবন-যাপন করছি। আমার অভিযোগ তুলে ফেলার জন্যও তারা বিভিন্ন মাধ্যমে আমাকে চাপ দিচ্ছে। নানা ধরণের হুমকিও দেয়া হচ্ছে। এতে আমি ভয় ও আতঙ্কে জীবন অতিবাহিত করছি।
এসপি আব্দুর রহিম শাহ চৌধুরী ও এসআই আবুল বাশার মোল্লার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা না অভিযোগ করায় অহেতুক হয়রানি করতে পারে। তাই আমার ও আমার পরিবারের সদস্যদের নিরাপত্তার কথা বিবেচনা করে দুইজন পুলিশ কর্মকর্তাকে টাঙ্গাইল থেকে অন্য কোথাও অন্যত্র বদলি অথবা প্রত্যাহার করার জন্য স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের প্রতি অনুরোধ জানাচ্ছি। পাশাপাশি প্রধানমন্ত্রীর হস্তক্ষেপ কামনা করছি।
এই অমানবিক নির্যাতনের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবিতে আমি ইতিমধ্যে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী, আইজিপি ও টাঙ্গাইল জেলা পুলিশ সুপারের কাছে আবেদন জানিয়েছি। যার প্রেক্ষিতে ঘটনাটির তদন্ত শুরু হয়েছে। তদন্তের দায়িত্ব রয়েছে স্পেশাল বাঞ্চের ডিআইজি মো. মাজহারুল ইসলাম। তবে নির্যাতনকারীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা না নেওয়ায়, ভয় এবং আতঙ্কের মধ্যে সময় কাটছে।
সংবাদ সম্মেলনে এ সময় উপস্থিত ছিলেন ফরিদ মিয়ার স্ত্রী মুক্তা বেগম, ভাবী রেখা বেগম, চাচাত ভাই মো. হাসান মিয়া, আলমগীর হোসেন, মোহাম্মদ ইউনুস আলম।
লিখিত অভিযোগ ফরিদ মিয়া আরো বলেন, এই এসপির বিরুদ্ধে বিভিন্ন অভিযোগ রয়েছে। তিনি প্রায় সময়ই পিটিসির অধিকাংশ স্টাফদের সাথে খারাপ আচরণ করেন। তার আচরণে পিটিসির অধিকাংশ স্টাফই অতিষ্ট। এ ছাড়া তার বিরুদ্ধে অভিযোগের শেষ নাই।