করোনাভাইরাস শরীরে বিভিন্ন রকম উপসর্গ সৃষ্টি করে। করোনামুক্ত হলেও শরীর অনেক দুর্বল করে দেয়। তাই প্লাজমার বিষয়টি আরো অনেক প্রচার হওয়া দরকার। আমার মতে অধ্যাপক এম এ খানের নেতৃত্বে বাংলাদেশের প্রতিটি জেলায় প্লাজমা সেন্টার হওয়া দরকার।
ডা. জাফরুল্লাহ চোধুরী বলেছেন, আমি করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হবার পর নড়াচড়াই করতে পারছিলাম না। তখন অধ্যাপক এম এ খান আমাকে প্লাজমা নিতে বলেন। সঠিকভাবে সঠিক সময়ে যদি পরীক্ষা-নিরীক্ষা করে প্লাজমা দেওয়া যায়, তাহলে রোগী সুস্থ হয়ে ওঠে। তাই দেশের প্রতিটা জেলায় প্লাজমা সেন্টার হওয়া দরকার।
গণস্বাস্থ্যের প্লাজমা সেন্টারে প্রতিদিন ২৫ জন করোনামুক্তদের থেকে রক্ত সংগ্রহ করব। প্লাজমা দেওয়ার অনেকগুলো নিয়ম আছে। আমরা অত্যন্ত সায়েন্টিফিক নিয়ম মেনেই রক্ত থেকে প্লাজমা সংগ্রহ করব। আপনারা জানেন ৪ মাস পর রক্ত পানি হয়ে যায়। সুতরাং জনস্বার্থে গণমাধ্যমের কাছে আমার আবেদন আপনারা করোনামুক্তদের রক্ত দান করতে বলেন।
ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের হেমাটোলজি বিভাগের প্রধান ও প্লাজমা থেরাপি প্রয়োগ সংক্রান্ত বিশেষজ্ঞ কমিটির প্রধান অধ্যাপক ডা. মহিউদ্দিন আহমেদ খান।
বক্তব্য রাখেন গণস্বাস্থ্য নগর হাসপাতালের আইসিউ প্রধান নাজির মোহাম্মদ, প্যাথলজি বিভাগের প্রধান সহযোগী অধ্যাপক ডা. গোলাম মো. কোরেইশী।
শনিবার ধানমন্ডিতে গণস্বাস্থ্য নগর হাসপাতালের প্লাজমা সেন্টার উদ্বোধন অনুষ্ঠানের বক্তব্যে এ কথা বলেন তিনি।